এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার বিধানসভার পাঠ পড়ানো হল তৃণমূল বিধায়কদের নতুন নির্দেশাবলীসহ, গুঞ্জন তীব্র

এবার বিধানসভার পাঠ পড়ানো হল তৃণমূল বিধায়কদের নতুন নির্দেশাবলীসহ, গুঞ্জন তীব্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগে থেকেই ঠিক হয়েছিল, আজকে বিধানসভা নির্বাচনের অধিবেশনের পরে পারিষদীয় দলের সবাইকে নিয়ে একটি আলোচনাসভা হবে। এবং জানা গিয়েছে আজকের বৈঠকে বিধায়কদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশাবলী দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এই বৈঠকে যেমন দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই পারিষদীয় নিয়ম-নীতি নিয়ে জ্ঞান বাড়াবার জন্য বিধানসভার লাইব্রেরী ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। শুক্রবার প্রথমদিন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের হৈ হট্টগোলে বানচাল হয়ে যায় রাজ্যপালের ভাষণ। এরপর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিধানসভার নতুন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন আশীষ বন্দোপাধ্যায়।

সোমবার দ্বিতীয় দিন শোকপ্রস্তাব পাঠ করার পরেই অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। এবং তারপর আগে থেকে ঠিক করে রাখা বিধানসভায় নৌসার আলি কক্ষে তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়। এই বৈঠকে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শ্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দলের মুখ্য সচেতক শ্রী নির্মল ঘোষ এবং উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। এই বৈঠকে বিধায়কদের জন্য যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল- এবার থেকে বিধায়কদের নিয়মিত বিধানসভার অধিবেশনে আসতে হবে, পুরো সময় থাকতে হবে, প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন ও অন্যান্য তথ্য জানার জন্য বিধানসভা গ্রন্থাগার নিয়মিত ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একই সাথে সংবাদমাধ্যমে সমস্ত বিধায়করা মুখ খুলতে পারবেন না এবার থেকে। যাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাঁরাই শুধু কথা বলবেন। পাশাপাশি দলের নির্দেশ মেনে বিরোধীদের আক্রমণ করতে হবে। বিরোধীদের আক্রমণ করার সময় বিধায়করা দলীয় নির্দেশ মেনে চলার ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। একইসাথে বলা হয়েছে, বিরোধীরা যদি বিধানসভার অধিবেশন বানচাল করতে চায়, সেখানেও সংযত ও সতর্ক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে শাসকদলের বিধায়কদের। এক্ষেত্রেও দলীয় নির্দেশ মেনে চলার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, সরকার গঠন করলেও তৃণমূল এবার অনেক বেশি সাবধান। বিভিন্নভাবে ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির রাজ্য সরকারকে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিনিয়ত তাঁরা সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল তাঁর ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সেক্ষেত্রে তৃণমূল বিধায়কদের অনেক বেশি সংযত ও বুদ্ধির সঙ্গে বিধানসভায় বিজেপির মোকাবিলা করতে হবে বলেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!