এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির চাপে বিধানসভা সামাল দিতে দলীয় বিধায়কদের পরামর্শ পার্থর, তৈরি হল রন-কৌশল!

বিজেপির চাপে বিধানসভা সামাল দিতে দলীয় বিধায়কদের পরামর্শ পার্থর, তৈরি হল রন-কৌশল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ক্ষমতা দখল করার টার্গেট ছিল ভারতীয় জনতা পার্টির। কিন্তু তারা তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। তবে 77 টি আসন দখল করে রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গা লাভ করেছে গেরুয়া শিবির। আর বিরোধী দলের আসনে বসার পর থেকেই বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, এবার তারা সরকারপক্ষকে এক ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে দেবেন না। অর্থাৎ এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি বিরোধী দলের জায়গা পাওয়ার পরেই রীতিমতো শাসক-বিরোধী অবস্থান নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে সবদিক থেকেই বিপাকে ফেলতে চাইছে। ইতিমধ্যেই বিধানসভার প্রথম দিনের অধিবেশনে সেই ঘটনা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

রাজ্যপালের ভাষণ শুরু হতে না হতেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ জানিয়ে বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে এসে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগামী দিন তাদের প্রতিবাদ এভাবেই চলবে। অর্থাৎ অতীতের বাম এবং কংগ্রেসের মত সুর নরম করা বিরোধী দল যে বিজেপি হবে না, সেই কথাও বুঝিয়ে দিতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাই বিধানসভার অধিবেশনে বিজেপির চাপকে উত্তীর্ণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এবং কিভাবে নিজেদের কাজকর্ম করতে হবে, এবার তা নিয়ে দলীয় বিধায়কদের পরামর্শ দিলেন পরিষদীয় দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, সোমবার রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীও। আর সেই বৈঠকেই বারবার করে আগামী দিন যে বিধানসভার অলিন্দে বিজেপি আরও বেশি করে তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াবে, সেই কথাটি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল বিধায়কদের। তবে বিজেপির চাপের কাছে যেন কোনোভাবেই নতি-স্বীকার করা না হয় এবং তার পাল্টা যেন তৃণমূল বিধায়করা নিজেদের মতো করে প্রস্তুত থাকেন, সেই কথাও তৃণমূলের পরিষদীয় বৈঠকে বারবার তুলে ধরেছেন শীর্ষ নেতারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ কোনোমতেই বিজেপির প্রতিবাদের কাছে ঘাবড়ে যাওয়া চলবে না। এক্ষেত্রে পাল্টা নিজেদের যুক্তি দিয়ে বিধানসভার বিতর্কে অংশগ্রহণ করার কথা জানানো হয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বদের পক্ষ থেকে। জানা গেছে, এদিনের বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এবার অধিবেশন অনেকটাই জটিল। বিজেপি আগ্রাসী বিরোধিতা করবে। তাই সবদিক সামলে থাকতে হবে।” পাশাপাশি বিরোধীদের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করা হলেই উত্তেজিত হওয়া চলবে না বলেও দলীয় বিধায়কদের পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব খুব ভালো করেই অনুভব করেছে, বিধানসভার অলিন্দে বিজেপি আগামীদিনে কি রকম প্রতিবাদ করতে চলেছে! কেননা যেভাবে অধিবেশন একেবারে শুরুর দিনে বিজেপির প্রতিবাদ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল, তাতে আগামী দিন যে খুব একটা সুখকর হবে না, তা বলাই যায়। এক্ষেত্রে 74 টি আসন পাওয়া ভারতীয় জনতা পার্টি যে প্রতিটি ক্ষেত্রে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেবে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার অলিন্দে কোনো ভুল কাজ যে করা যাবে না, সেই ব্যাপারে নতুন-পুরনো সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকের মধ্য দিয়ে কার্যত স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

কেননা এবারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এমন অনেক ব্যক্তি বিধায়ক হয়েছেন, যাদের পরিষদীয় রাজনীতির অভিজ্ঞতা একেবারে নেই বললেই চলে। ফলে তাদের কিভাবে বিধানসভার কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে এবং বিরোধীদের তোলা যুক্তিকে কিভাবে খন্ডন করতে হবে, সেই ব্যাপারে রীতিমতো প্রশিক্ষণ দিলেন তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা। তবে বিধানসভার অলিন্দে কাজকর্ম পরিচালনা করা থেকে শুরু করে বিরোধীদের যুক্তি-খন্ডন, সমস্ত কিছু করার ব্যাপারে আগে থেকে তৃনমূল বিধায়কদের প্রশিক্ষিত করা হলেও, শেষ পর্যন্ত তারা এই ব্যাপারে কতটা সফলতা অর্জন করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!