এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার দলবদলু ও বেসুরো নেতাদের জন্য বিজেপির কড়া পদক্ষেপ, মুকুল রায়কে আটকাতেও চরম সিদ্ধান্ত

এবার দলবদলু ও বেসুরো নেতাদের জন্য বিজেপির কড়া পদক্ষেপ, মুকুল রায়কে আটকাতেও চরম সিদ্ধান্ত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল গেরুয়া শিবিরে হয়তো বড়োসড়ো ধ্বস নামতে পারে। আর কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল ঠিক সেটাই হয়েছে। ভোটের পর থেকে গেরুয়া শিবিরের নিচুতলায় তো ব্যাপক ভাঙন ধরেছে। উপরমহলও বাদ যায়নি। কার্যত গেরুয়া শিবিরে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে দলবদল করেন কেন্দ্রীয় বিজেপির সহ-সভাপতি মুকুল রায়। আর এই ঘটনা যে গেরুয়া শিবিরকে তীব্র অস্বস্তির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে তা বলাইবাহুল্য। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরে অনেকেই বেসুরো হতে শুরু করেছেন। তাই সবাইকে নিয়েই এবার বিজেপি শুরু করেছে চিন্তাভাবনা।

সম্প্রতি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দল বিরোধী আইন প্রয়োগ করা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এই নিয়ম বর্তমানে মুকুল রায়ের ওপর লাগু করতে পারবেন একমাত্র বিধানসভার স্পিকার। আর এবার নিয়মে সংশোধনী আনতে লোকসভার বাদল অধিবেশনে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা। মুকুল রায় বিজেপিতে চলে গেলেও বর্তমানে তৃণমূল থেকে আসা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, সোনালী গুহরা একেবারেই নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। তাঁরা সব ভুলে তৃণমূলে যাবার জন্য পা বাড়িয়েই আছেন। শুধু তৃণমূলের গ্রীন সিগন্যালের অপেক্ষা। কিন্তু এবার থেকে বিজেপি এত সহজে বেসুরো নেতাদের যেতে দেবেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই মতনই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে খবর। কার্যত মুকুল রায়ের দল ছেড়ে যাওয়া তৃণমূলের কাছে হেরে যাওয়ার থেকেও অনেক বেশি প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের ক্ষেত্রে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সাথে সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিজেপি সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সেখানে এবার বেসুরোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে রাজ্যে বিজেপি সংগঠনের রদবদলে যাতে বেসুরোদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া না হয় সেইরকমই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে কারা যোগ্য হিসাবে পদ পাবেন সাংগঠনিক রদবদলে, তার খসড়াও দিলীপ ঘোষ তৈরি করবেন বলে জানা যাচ্ছে।

ভোটে টিকিট না পেয়ে বা মানুষের জন্য কাজ করতে না পেরে যারা বিজেপিতে এসেছিলেন, ভোটে বিজেপি হেরে যাওয়ার সাথে সাথে আবারও শাসকদলের ঢোকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরাই। আর এইসব নেতা নেত্রীরাই এখন বিজেপির মূল চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের কড়া পদক্ষেপ দলের বেনোজল আটকাতে সক্ষম হবে কিনা সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি মুকুল রায়কেই বা আইনের ঘেরাটোপে কতটা বেকায়দায় ফেলতে পারে বিজেপি সেটাও দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!