এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার গেরুয়া শিবিরের ঝাঁপ বন্ধ! আর যোগদান করা যাবেনা- জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক

এবার গেরুয়া শিবিরের ঝাঁপ বন্ধ! আর যোগদান করা যাবেনা- জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবথেকে চমকপ্রদ ঘটনা হলো দলবদল। তবে এই দলবদল হয়ে চলেছে একমুখী। ক্রমাগত তৃণমূল থেকে বিজেপিতে বানের জলের মতন দলবদল পর্ব চলেছে বেশ কিছুদিন ধরে। তৃণমূলের একের পর এক নেতা, বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রীরা দলে দলে ভিড় জমিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। দু’দফায় বেশ বড়োসড়ো দলবদল হয়ে গিয়েছে। 

প্রথমবারে অর্থাৎ ডিসেম্বরের শেষের দিকে রাজ্যের অন্যতম জননেতা শুভেন্দু অধিকারী যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। আর সম্প্রতি জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিলেন গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর মতন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তবে এবার বিজেপি তাঁদের ঝাঁপ বন্ধ করতে চলেছে।

এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়ে দিলেন, গেরুয়া শিবিরে আর কাউকে নেওয়া হবেনা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কি? এতদিন ধরে যে অবাধ যোগদান চলছিল, এমনকি যোগদান মেলা হয়ে গেল পর্যন্ত, হঠাৎ করে কি এমন ঘটলো যে সেই যোগদান মেলা বন্ধ হয়ে গেল! 

যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ গেরুয়া শিবিরে যোগদান বন্ধ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। কিন্তু এবার বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় জানিয়ে দিলেন, ভোটের মুখে আর কাউকে দলে নেওয়া হবেনা। তবে তিনি জানিয়েছেন, ভোট শেষ হবার পর আবার গেরুয়া শিবিরের দরজা খোলা হবে।

রাজ্যের অন্যতম বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলার মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছিলেন, দলবদলের ক্ষেত্রে এবার বিজেপির টার্গেট কলকাতা ও দক্ষিণ 24 পরগনা। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়েও পদ্ম ফুল ফোটাবেন বলে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করেছিলেন শুভেন্দু। 

কিন্তু অচিরেই সেই চ্যালেঞ্জ কোথায় যেন হারিয়ে গেল কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘোষণায়। তৃণমূল ছেড়ে বিগত দুবারের যোগদানে যারা দলে এসেছেন তাঁদের তালিকা কিন্তু নেহাত ছোট নয়। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল হয়ে দশরথ তিরকে, রুদ্রনীল ঘোষ সহ একাধিক প্রথম সারির নাম রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি বহু ছোট বড় নেতারাও যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। তবে বিজেপির অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। যেভাবে বিজেপি শিবিরে দলবদল চলছিল, তাতে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরে আদি ও নব্য নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গেছে চূড়ান্ত রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। অনেক ক্ষেত্রেই বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীরা নতুনদের মোটেই মেনে নিচ্ছেন না।

 আর এখানেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে বার্তা দিয়েছে আরএসএস। আর তারপরেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। আরএসএস থেকে রীতিমতো ক্ষোভের সঙ্গে সাবধান করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।

সূত্রের খবর, আরএসএস এর মতে, ভোটের মুখে যেভাবে তৃণমূল থেকে লোক গিয়ে ভিড় করছে গেরুয়া শিবিরে তাতে সংগঠন মজবুত হওয়ার বদলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা। এতে পুরনো কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যা বুমেরাং হতে বাধ্য বলে মনে করছে আরএসএস। তাই হঠাৎ করেই গেরুয়া শিবিরের দরজা বন্ধ হয়ে গেল সবার জন্য। 

তবে মনে করা হচ্ছে, যারা ভেবেছেন গেরুয়া শিবিরে আসবেন, অপেক্ষাই তাঁদের এখন একমাত্র কাজ। একুশের বিধানসভার নির্বাচন মিটলে তারপর গেরুয়া শিবিরের দরজা খুলবে। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সে ক্ষেত্রে স্পষ্ট করে দেবে সেই দরজা দিয়ে পরবর্তীতে কেউ প্রবেশ করবে কিনা!

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!