এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার ক্ষুদিরাম বসুর পদবী “দাস” করে দিলেন তৃণমূল মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, জোর বিতর্ক!

এবার ক্ষুদিরাম বসুর পদবী “দাস” করে দিলেন তৃণমূল মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, জোর বিতর্ক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপি বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি জানে না, এই অভিযোগ তৃণমূলের দীর্ঘদিনের। কখনও বিশ্বভারতী সম্পর্কে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতার মন্তব্য, আবার কখনও বা প্রধানমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে করা মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বিজেপি নেতারা রবিঠাকুর থেকে শুরু করে ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোনো মনীষী সম্পর্কেই সঠিক খবর রাখেন না। তাই তারা বাংলার কৃষ্টিকে অপমানিত করছে।

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন বিজেপির বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে, ঠিক তখনই শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর পদবী পাল্টে ফেললেন তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট নাট্যকার ব্রাত্য বসু। “উইংকেল টুইংকেল” নাটকের অভিনেতা বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষুদিরাম বসুর পদবী পাল্টে “দাস” বলে ফেললেন। যা নিয়ে এবার তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, ব্রাত্য বসু শুধু তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী নন, তিনি বাংলার বিশিষ্ট বিদ্বজ্জন। ফলে তিনি বাংলার এই বিশিষ্ট মনীষীর পদবী নিয়ে যে কথা বললেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, এর আগে পূর্বতন বাম সরকার ক্ষুদিরাম বসুকে “সন্ত্রাসবাদী” বলে দীর্ঘদিন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। যার রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ছেড়ে দেয়নি তৎকালীন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

দীর্ঘদিন ধরে বামেদের বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়েছে রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে ক্ষুদিরাম বসু পর্যন্ত বামেদের কুরুচিকর মন্তব্য। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী যখন শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন, তখন তার রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেও যে বর্তমান প্রধান বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃত ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা-কর্মীরা ছেড়ে দেবেন না, সেকথা তো বলাই বাহুল্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 2021 সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বাংলাকে পাখির চোখ করে ফেলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। কখনও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ধুতি পাঞ্জাবি পরে সাংবাদিক বৈঠক করছেন, আবার কখনও বা অন্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ব্যাকগ্রাউন্ড করা হচ্ছে কোচবিহার রাজবাড়ী থেকে শুরু করে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরকে।

আর এরকম পরিস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টিকে “বহিরাগত পার্টি” বলে প্রমাণ করতে উদগ্রীব তৃণমূল কংগ্রেস। সেজন্য বাংলার মনীষীদের নিয়ে বাংলার সৃষ্টি, বাংলার কৃষ্টি এবং বাংলার ঐতিহ্যকে প্রধান হাতিয়ার বানাতে চেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই সেই সৃষ্টি, কৃষ্টি, ঐতিহ্যের একটা বড় জায়গা জুড়ে যে বাংলার মনীষীরা থাকবে, সেকথা সকলেরই জানা। এমতাবস্থায় ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্য শাসক-বিরোধী মনিষী তরজাকে কোনখানে নিয়ে গিয়ে উপনীত করে, সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!