প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কয়েক মাস ধরেই চা-চক্র চালাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি নেতা। সকালবেলায় চায়ের আসর থেকে একদিকে যেমন বিজেপির হয়ে প্রচার চলছে, অন্যদিকে তেমনি বিরুদ্ধ প্রচার করা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। যদিও, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার কটাক্ষ করা হয়েছে বিজেপির এই জনসংযোগ মূলক পরিকল্পনাকে। কিন্তু চা-চক্র যে যথেষ্ট লোক টানছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ, আগে চায়ের আসর বসত কোন চায়ের দোকানে, কিন্তু এখন মঞ্চ বেঁধে এর আয়োজন করা হচ্ছে।

আর এবার থেকে চা-চক্রে আরও জনসমাগম বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা বিজেপির। এবার থেকে চা চক্রে দেয়া হবে পুরুষ্কার। লাকি ড্রয়ের দ্বারা চা-চক্রে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। লাকি ড্র এর মাধ্যমে ভাগ্যবানকে বেছে নিয়ে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। আজ যোধপুর পার্কে দিলীপ ঘোষের চা চক্রে লাকি ড্রয়ের সূচনা হলো। তবে, বিজেপির এই উদ্যোগকে যথেষ্ট কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানান যে, চা চক্রে ভিড় হচ্ছে না। তাই লাকি ড্রয়ের টোপ দিয়ে মানুষকে ডেকে আনা হচ্ছে চা-চক্রে। এটা একটা সার্কাস চলছে।

আজ যোধপুর পার্কের চা চক্র থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গের স্কুল কলেজের কোন উন্নতি হয়নি। পরিকাঠামোগত কোন উন্নতি হয়নি। কর্মসংস্থানও ঘটেনি। মুখ্যমন্ত্রী (দিদিমনি) করোনা সংক্রমণের সময় ট্রেন পর্যন্ত বন্ধ রেখেছিলেন। কারণ, তিনি জানতেন শ্রমিকেরা রাজ্যে এলেই তাঁরা চাকরি চাইবেন।

এরপর কৃষি বিষয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, রাজ্যের কোন কৃষকই তৃণমূলের সঙ্গে নেই। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেই আছেন। তিনি জানালেন, বিজেপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলায় কৃষকদের পক্ষে র‍্যালি করা হয়েছে। অন্যদিকে, আজ মেদিনীপুরে রোডশো করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।