এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শেষ হল জিএসটি কাউন্সিলের ৪৩ তম বৈঠক, উঠে এলো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

শেষ হল জিএসটি কাউন্সিলের ৪৩ তম বৈঠক, উঠে এলো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল জিএসটি কাউন্সিলের ৪৩ তম বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অর্থমন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকেরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠক চলে। এই বৈঠকে করোনার চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম বিষয়ে, করোনা ভ্যাকসিনের উপরে কর ছাড়ের প্রস্তাব উঠে এসেছিল।

গতকাল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন যে, করোনা ভ্যাকসিনের ওপর কর ছাড়ের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে তা মন্ত্রিগোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হবে। আগামী ৮ ই জুন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর সঙ্গে সঙ্গেই করোনা চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম গুলিতে জিএসটি কতটা ছাড় দেওয়া যায়? এ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেবার জন্য মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করা হবে। ৮ ই জুনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে মন্ত্রিগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম গুলিতে জিএসটি ছাড় দেয়া হোক। পাঞ্জারের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত সিং বাদলও কেন্দ্রের কাছে এই ধরনের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন যে, ফেস মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস, টেম্পারেচার স্ক্যানার, পিপিই কিট, অক্সিমিটার, ভেন্টিলেটরের মত বিষয়গুলিতে জিএসটি ছাড় দেওয়া হোক।

তবে, এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন যে, করোনার চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলিকে পুরোপুরি কর ছাড় দেওয়া কার্যত সম্ভব নয়। কারণ এটা করা হলে, এর উৎপাদকেরা ইনপুট কর দিয়ে উৎপাদিত পণ্যগুলিকে বিক্রির সময় ক্রেতাদের ওপরে করের বোঝা চাপিয়ে দেবে। ফলে এগুলির দাম বৃদ্ধি পাবে। তাই এ প্রসঙ্গে একাধিক বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন যে, করোনার চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত পণ্য গুলিকে কর ছাড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, এই পণ্যগুলি উৎপাদন করতে যে সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রয়োজন হয়, সেগুলিকেও কর ছাড়ের আওতাভুক্ত করতে হবে। তাহলেই কর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে ও পণ্যগুলির দাম কমবে পারবে।

গতকাল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, করোনার বিষয়ক পন্যগুলির ক্ষেত্রে কতটা ছাড় দেওয়া যায়? সে বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা চলছে। তিনি জানিয়েছেন, সরকারকে যদি অনুদান হিসেবে করোনা বিষয়ক ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়, তাহলে তার আমদানিতে ছাড় দেবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকার অনুমোদিত কোন সংস্থাকে অনুদান হিসেবে করোনা সম্পর্কিত ত্রাণসামগ্রী দিলে, সে ক্ষেত্রেও ছাড় দেয়া হবে। আগামী ৩১ সে আগস্ট পর্যন্ত এই ছাড় দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!