এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কলেজ শিক্ষকদের তীব্র আন্দোলন, বেদনাদায়ক বলে জল্পনা বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলেরই বিধায়ক

কলেজ শিক্ষকদের তীব্র আন্দোলন, বেদনাদায়ক বলে জল্পনা বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলেরই বিধায়ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যে কোনো সরকারের আমলেই কোনো আন্দোলন নিঃসন্দেহে সেই শাসক পক্ষের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে একদিকে যেমন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই শাসক দলের অন্দরে ভাঙনের আশঙ্কা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। অর্থাৎ একদিকে দল এবং অন্যদিকে সরকার সামলাতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে।

আর এই পরিস্থিতিতে জল্পনা বাড়িয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক অধ্যাপিকারা যে আন্দোলন শুরু করেছেন, সেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে দেখা গেল ইটাহারে তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্যকে। যেখানে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিতে দেখা গেছে তাকে। স্বাভাবিকভাবেই একজন তৃণমূল বিধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হওয়া সত্ত্বেও, কেন সেই আন্দোলনে পাশে থাকার কথা জানালেন, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, নীতিগত কারণেই তৃণমূল বিধায়ক এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে আবার বলছেন, তাহলে কি দলের সঙ্গে এই তৃণমূল বিধায়কের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে! আর তাই আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার কথা জানাতে দেখা গেল তাকে! সূত্রের খবর, এদিন সকালে অতিথি অধ্যাপকদের অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত হন ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য। যেখানে গিয়ে তাদের সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি।

পরবর্তীতে সেখানে সেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। দুজনেই আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দল অর্থাৎ কংগ্রেসের বিধায়ক আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেল ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ককে, তা নিঃসন্দেহে জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু আন্দোলনকারীদের পাশে থাকা নয়, এই পরিস্থিতিকে “বেদনাদায়ক” বলেও গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছেন অমল আচার্য। তিনি বলেন, “অতিথি অধ্যাপকরা টানা আট দিন ধরে একইভাবে অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি সত্যি বেদনাদায়ক। দিনরাত অবস্থান মঞ্চে বসে নিজেদের দাবি পূরণের জন্য তারা চেষ্টা করছেন। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছি। তাদের দাবি নিয়ে আমি অবশ্যই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।” স্বাভাবিক ভাবেই তার এই মন্তব্যে এখন নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াতে শুরু করেছে।

একাংশ বলছেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে, অথচ সেই আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের পাশেই দাঁড়াতে দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ককে। তাহলে কি এই আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে গোটা ব্যবস্থাকে বেদনাদায়ক বলে তিনি নিজের দল বা রাজ্য প্রশাসনের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন না! আর এখানেই একাংশ বলছেন, তাহলে কি এবার দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে নতুন কোনো পদক্ষেপ নিতে চলেছেন অমল আচার্য! অনেকেই বলতে শুরু করেছেন এমন জল্পনার কোনো বিষয় নেই। আসলে মানবিকতার খাতিরেই ইটাহারে তৃণমূল বিধায়ক এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।

তবে যে যাই বলুন না কেন, একজন বিধায়ক তাও আবার শাসকদলের, অথচ তিনি আন্দোলনকারীদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন, এটার সঙ্গে রাজনীতি যে অবধারিত ভাবে জড়িয়ে পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তবে শুধুমাত্র মানবিকতার খাতিরেই এই সমস্ত অতিথি অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক, নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো সমীকরণ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!