এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলে বিষক্রিয়া, তীব্র ভাবে সরব বিজেপি শিবির

পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলে বিষক্রিয়া, তীব্র ভাবে সরব বিজেপি শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ওয়ার্ড অর্থাৎ ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলে সংক্রমণ থেকে মৃত্যু হল কলকাতা পুরসভার জনৈক শ্রমিক ভুবনেশ্বর দাসের। ভবানীপুরে কলকাতা পুরসভার জল বাহিত সংক্রমণ থেকে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছেই এই ঘটনা ঘটায়, বিষয়টি নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, দূষিত জল পান করে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্রভাবে অভিযুক্ত করেছে বিজেপি শিবির।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছেই শহরের মানুষ জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, একজনের মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি কটাক্ষ করেছেন, করপোরেশনকে আধুনিক করার দায়িত্ব যাদের, এখন তাঁরাই নির্বাচনে নিজেদের গদি বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ক্যামেরার সামনে এসে তাদের অসুবিধার কথা জানাতে পারছে না মানুষ। তিনি কটাক্ষ করেছেন, এত তৃণমূলের ব্যানার চারদিকে, খেলা হবে স্লোগান দেয়া হচ্ছে, কিন্তু, আসল খেলাই দেখাতে পারেনি তৃণমূল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পানীয় জলের বিষক্রিয়ার এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানালেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত ১০ বছর ধরে মানুষের অধিকার লুঠ করা হয়েছে। মানুষের প্রতিবাদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে মানুষের বিকাশের পথকে। আবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপি টাকা দিয়ে মানুষের ভোট কিনে
নেবে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের আক্রমণ, শুধু বিজেপিকে আক্রমণ নয়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষকেই বিক্রয় যোগ্য বলে বোঝানো হচ্ছে।

অন্যদিকে, গতকাল দাঁতনের সভা থেকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, বিজেপির সভায় লোক হচ্ছে না, এর থেকে চায়ের দোকানে বেশি ভিড় হয়ে থাকে। এর প্রত্যুত্তরে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানালেন যে, কয়েকদিন পরে রাজ্যপাট ছেড়ে দিয়ে তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের চায়ের দোকানে বসে বিজেপির সমালোচনা করতে হবে। তাই বিদায় বেলায় ভিন্ন কথা বলতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের।

প্রসঙ্গত,নির্বাচনের প্রাক্কালে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ওয়ার্ড, অর্থাৎ পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে জলে বিষক্রিয়ার ঘটনা তীব্র অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। এ বিষয়ে সরব হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী সহ বিরোধী শিবির।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!