এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার কি বাংলাতেও পরিবারতন্ত্র মাথাচাড়া দিচ্ছে? কে হবেন রাজ্যের পরবর্তী তৃণমূল মুখ্যমন্ত্রী?

এবার কি বাংলাতেও পরিবারতন্ত্র মাথাচাড়া দিচ্ছে? কে হবেন রাজ্যের পরবর্তী তৃণমূল মুখ্যমন্ত্রী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের অন্যতম শাসকদল তৃণমূল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর পরবর্তী লক্ষ্য এখন তাঁদের কাছে 2024 এ লোকসভা নির্বাচন। কার্যত দিল্লির মসনদ থেকে মোদী শাসনের অপসারণ- এই লক্ষ্য স্থির রেখে ধীরে ধীরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে চলেছেন। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি ধরে নেওয়া যায়, 2024 এর  লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীর লক্ষ্য সফল হবে, তাহলে বাংলায় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? এটা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে আরও একবার পরিবারতন্ত্রের কথা সামনে আসছে।

জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি সবার দেখা। কিন্তু এবার তৃণমূল কংগ্রেসেও সেই একই ভাবধারার অনুগামী হতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দিল্লির মসনদে অধিষ্ঠান করেন, তাহলে বাংলার মসনদ কে দেখবেন, পরবর্তী প্রজন্মের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কিন্তু সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেবে গেরুয়া শিবিরের দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোণঠাসা করতে কয়লা মামলা, গরু পাচার মামলা নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছিলেন তা যথেষ্ট সমস্যার সৃষ্টি করেছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এতো সহজে তিনি শুভেন্দুকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মেনে নেবেন তা কিন্তু কোন জায়গা থেকেই মনে হচ্ছেনা। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই ধারণা, মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন যেসময়, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন তৃণমূল নেত্রীর ডানহাত হয়ে উঠবেন। তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী অন্যতম যোগ্য প্রার্থী হিসেবে উঠে আসবেন। কিন্তু দেখা গেল, রাজনৈতিকভাবে উঠে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে দক্ষতা দেখিয়েছেন অভিষেক, তা কিন্তু সে সময় ছিলনা। আর ঠিক এই কারণের জন্যই শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়েছেন বলে জানা যায়।

অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইকে স্বীকৃতি দিয়ে তাকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে, যা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য আগামী দিনের পরিপ্রেক্ষিতে। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছেন, তিনি মন্ত্রীত্ব না বরং দলের একজন কর্মী হিসেবে তিনি দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। কার্যত এখন দলের দিকে নজর দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সরকারি জায়গায় নিজেকে আবদ্ধ রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মকাণ্ডটা ভালোভাবে বিচার করলেই কিন্তু আগামী দিনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠবে। আপাতত তর্ক বিতর্ক চলবেই। কিন্তু ভবিষ্যতে বাংলার রাজনীতিতে যে প্রবল উঠানামা হতে চলেছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!