এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার কি এই রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ‘অপারেশন লোটাস’? ভয়ে কাঁপছে শাসকপক্ষ! বাড়ছে জল্পনা

এবার কি এই রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ‘অপারেশন লোটাস’? ভয়ে কাঁপছে শাসকপক্ষ! বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মধ্যপ্রদেশেলর পর কি এবার গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য মহারাষ্ট্রের আসন দখল? এবার এরকমই প্রশ্ন তুললেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। কিছুদিন আগেই সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছিল, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল নতুন করে আবার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরের দিকে। আর তারপর থেকেই মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগারী জোট ঘিরে শুরু হয়েছে প্রবল জল্পনা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসা নিয়ে গন্ডগোলের জেরে একসময় মহারাষ্ট্রের বিজেপি এবং তাঁদের মিত্রপক্ষ শিবসেনার সাথে লাগে গন্ডগোল।

আর এই গণ্ডগোলের জেরেই দুই রাজনৈতিক দল যাঁরা একসাথে চলছিল, তাঁরা আলাদা হয়ে যায়। অন্যদিকে, শিবসেনা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার জন্য কংগ্রেস এবং এনসিপির মুখাপেক্ষী হয়ে পড়েন। এবং তাঁদের বদান্যতায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর আসন দখল করে শিবসেনা। কিন্তু এবার মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিলের বার্তার পর বিজেপির প্রতি অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাঁরা মহারাষ্ট্র সরকারকে ফেলার তোড়জোড় করছে। আর এই নিয়ে এ দিন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার রীতিমতন তোপ দেগেছেন বিজেপির প্রতি।

এদিন শরদ পাওয়ার বিজেপির অপারেশন লোটাসের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ‘দেশের অন্য জায়গা তো একই কাজ করছে বিজেপি এখানেও তাই চলছে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলছেন তিনি বা তার দরকার ফেলতে চায় না তবে এটা মিথ্যা কথা তারা সব দিক দিয়েই সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ তবে এদিন শরদ পাওয়ার বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেন। সম্প্রতি রাহুল গান্ধীকে দেখা যাচ্ছে এককভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ও বিজেপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই প্রসঙ্গ টেনে এনে শরদ পাওয়ার জানাচ্ছেন, বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস ঘরে-বাইরে সমস্যায় জর্জরিত। সংগঠন তাঁদের ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। এই অবস্থায় রাহুল গান্ধীর দলের সাংগঠনিক জোর বাড়ানোর জন্য দায়িত্ব নেওয়া প্রয়োজন। কারণ শরদ পাওয়ারের মতে গান্ধী পরিবার একমাত্র, যাঁরা কংগ্রেসকে ধরে রাখতে পারে। তবে রাহুল গান্ধীকে দায়িত্ব দেওয়ার মতন বড়সড় সিদ্ধান্ত যে কংগ্রেসের অন্দরমহলের ব্যাপার সেকথাও শরদ পাওয়ার জানান এদিন।

তবে সাম্প্রতিককালে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি অর্থাৎ মহা আগাড়ী জোটের মধ্যে কিছু বিষয়ে বিভিন্ন সময় দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে। আর তারই সুযোগ নিতে চলেছে বিজেপি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই বোধহয় চন্দ্রকান্ত পাতিলের সন্ধির বার্তা উদ্ধব ঠাকরেকে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা। আপাতত মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই মুহূর্তে ঠিক থাকলেও আগামী দিনে কি হবে সে কথা বলা যাচ্ছেনা শারদ পাওয়ারের অভিযোগের পর। তাই এখন মহারাষ্ট্রের দিকেই নজর টিকিয়ে রাখবেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!