এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার শুভেন্দুকে হুটআউট করে দিল স্বয়ং ছত্রধরও, মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তৃণমূল নেতা!

এবার শুভেন্দুকে হুটআউট করে দিল স্বয়ং ছত্রধরও, মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তৃণমূল নেতা!


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশেষজ্ঞরা বলেন, নন্দীগ্রামে তৃণমূলকে ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে যদি কারও অবদান থেকে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস অসুবিধায় পড়েছে, সেখানে মুশকিল আসান হয়ে উঠেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা চলছে রাজ্য জুড়ে। তিনি দলে থাকবেন, নাকি বেরিয়ে গিয়ে নতুন কোনো টিম গঠন করবেন, নাকি যোগ দেবেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে, তা প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর এই পরিস্থিতিতে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য পোষণ করে শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্দিনের সঙ্গী জঙ্গলমহলের ছত্রধর মাহাতো। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বাঘমুন্ডির বাড়েরিয়া মোড়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের প্রথম শহীদ প্রধান সিং মুড়ার মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দেন ছত্রধর মাহাতো।

তিনি বলেন, “তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা। এখানে কোনো দাদার স্থান নেই। আপনাদের সংগ্রামের জন্যই জঙ্গলমহল। জঙ্গলমহলের পরিবর্তন। নেত্রী আমাকে সম্মান দিয়েছেন, তার মানে জঙ্গলমহলের প্রত্যেকটা মানুষকে সম্মান দিয়েছেন। তাই 2021 এর সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এখানে পদ্মফুলের কোনো স্থান নেই।” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে বার্তা দিয়ে ছত্রধর মাহাতো বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তাদের দলের কোনো অসুবিধা হবে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যখন দলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল, তখন তার নাম না করে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের গলায় শোনা গিয়েছিল, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে আলু বিক্রি করতে হত রে, আলু বিক্রি করতে হত।”

আর তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, কেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এভাবে তাকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন, তা নিয়ে তার অনুগামীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। পরবর্তীতে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী পদ থেকে পর্যন্ত ইস্তফা দেন। বর্তমানে তার দলবদল জল্পনার অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই অবস্থায় জঙ্গলমহলে তৃণমূলের নেতা ছত্রধর মাহাতো শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত গুরুত্বহীন করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই দাবি করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে বিজেপি বড় বিপদ হিসেবে তুলে ধরেন ছত্রধর মাহাতো। তিনি বলেন, “2021 এ অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই। বিজেপি এলে আপনাদের জাহের থান থাকবে না। সেখানে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। এরা যা বলবে তাই করতে হবে। এদের নীতিটাই এমন। আমি দিলীপ ঘোষের প্রস্তাবে সাড়া দিইনি। তাই যে মামলায় আমি ছাড়া পেয়েছি, সেই মামলা ওরা নতুন করে করতে শুরু করেছেন। তাই এনআইএকে লেলিয়ে দিয়েছেন।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর যদি সব থেকে বেশি জনপ্রিয় নেতা বলে কেউ থেকে থাকেন, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। এক সময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল রায়গঞ্জ থেকে শুরু করে মালদহ, মুর্শিদাবাদ। কিন্তু সেই সমস্ত জায়গায় কংগ্রেসের হাতকে উপড়ে ফেলে সেখানকার শক্ত মাটিতে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন এই শুভেন্দু অধিকারী। তার দলত্যাগ যে শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে তাঁর পথ ধরে তৃণমূলের অজস্র অনুগামী এবং জনপ্রতিনিধি দলবদল করতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তবে প্রতিমুহূর্তে তৃণমূলের নেতারা বার্তা দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী তাদের কাছে কোনো ফ্যাক্টর নয়। আর সেই পথে হেটেই জঙ্গলমহলের সভা করে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাথার উপরে রেখে শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত গুরুত্বহীন করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন ছত্রধর মাহাতো। কিন্তু মুখে তিনি যে কথাই বলুন না কেন, যদি শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করেন, তাহলে জঙ্গলমহলে যে তৃণমূলের বিপদ ঘনিয়ে আসছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!