এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গে ক্রমশ হারানো জমি শক্ত করছে ঘাসফুল শিবির! গেরুয়া-লাল শিবিরে একযোগে ধরল বড়সড় ভাঙন

উত্তরবঙ্গে ক্রমশ হারানো জমি শক্ত করছে ঘাসফুল শিবির! গেরুয়া-লাল শিবিরে একযোগে ধরল বড়সড় ভাঙন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট এই মুহূর্তে বাংলার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরেই হয়ে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গ জুড়ে তৃণমূলের চিহ্নমাত্র মুছে যায়। সে জায়গায় গেরুয়া শিবির উত্তরবঙ্গের মাটিতে ঘাঁটি গড়ে। এই অবস্থায় আচমকা শিলিগুড়ির বুকে এবার ভাঙ্গন বিজেপি এবং সিপিএম দলে। আর এই ভাঙন ধরানোর কারিগর তৃণমূল শিবির বলে জানা গেছে। আগামীদিনের মসনদ দখলের লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল শিবিরের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

সম্প্রতি শিলিগুড়ির বুকে বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে প্রায় 200 কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে জানা গেছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই চরম অস্বস্তিতে বিজেপি এবং সিপিএম। তৃণমূল দলীয় সূত্রের খবর, এদিন শিলিগুড়ি মহকুমা নকশালবাড়ি ব্লকের মনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের দয়ারাম এলাকায় বুধবার ব্লক স্তরে তৃণমূলের একটি সভার আয়োজন হয়। এবং সেই সভাতেই বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে প্রায় 200 কর্মী, সমর্থক এসে যোগ দেয় তৃণমূলে।

তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার। অন্যদিকে জানা গেছে, এই যোগদান পর্বে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি অমর সিনহা, নকশালবাড়ি ব্লক-২ সভাপতি পৃথ্বীশ রায়, মনিরাম অঞ্চল সভাপতি ভানু বর্মন, কিশোর ছেত্রী, ছোটকা ঘোষ, গৌতম ঘোষ সহ অন্যান্য নেতা নেত্রীরা। অন্যদিকে দলবদল নিয়ে রঞ্জনবাবুর মত, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার যেভাবে চার মাস ধরে বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তার ফলস্বরূপ অন্যান্য দল থেকে তৃণমূলে যোগদান পর্ব চলছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উপরন্তু তিনি এদিন বিজেপি এবং সিপিএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, মানুষের দুর্দশার দিনে এলাকার সাংসদ রাজু বিস্ত কিংবা বিধায়ক শঙ্কর মালাকারকে মানুষ দেখতে পায়নি। তাই মানুষ তাঁদের উপর থেকে ভরসা তুলে নিয়েছে। এবং এদিন জোর দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, আগামী দিনে তৃণমূল শিবিরে যোগদান পর্ব আরো বাড়বে বৈ কমবে না। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে সেভাবে রাজনৈতিক শক্তি দেখাতে পারেনি শাসক দল।

কিন্তু এবার যেভাবে দলবদল হল, তাতে এলাকায় তৃণমূলের যে রাজনৈতিক শক্তি বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেল সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। মনে করা হচ্ছে, ধীরে ধীরে হলেও উত্তরবঙ্গের মাটিতে শাসক দল বর্তমানে সংগঠন জোরদার করার কাজে নেমেছে। অন্যদিকে এই ধাক্কা গেরুয়া ও বয়াম শিবির কিভাবে সামাল দেয় সেদিকেও কিন্তু নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল। আপাতত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের মসনদ দখল করবে কোন দল, তা নিয়েই এখন সরগরম বাংলার রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!