এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পিকের টীমকে এবার ‘ঠিকাদারি সংস্থা বলে তীব্র আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের, পিকেকে নিয়ে বাড়ছে অস্বস্তি !

পিকের টীমকে এবার ‘ঠিকাদারি সংস্থা বলে তীব্র আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের, পিকেকে নিয়ে বাড়ছে অস্বস্তি !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু এবার সরাসরি দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর এবং তার সংস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। শুধু তাই নয়, নিজের দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও। যার ফলে সেই মিহির গোস্বামীর তৃণমূল ত্যাগ এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করছে একাংশ।

বস্তুত, তৃণমূলের কোচবিহার জেলার নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকেই প্রকাশ্যে সরব হতে দেখা যায় এই হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ককে। শুধু তাই নয়, দলের সমস্ত পদ থেকে সরে যাওয়ার কথাও জানিয়ে দেন তিনি। আর এবার তৃণমূল কংগ্রেস যে প্রশান্ত কিশোর এবং তার সংস্থার কথা অনুযায়ী চলছে সেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে “ঠিকাদারি সংস্থা” বলে পরোক্ষে দলকে বিড়ম্বনায় ফেললেন মিহির গোস্বামী।

সূত্রের খবর, শুক্রবার নিজের কার্যালয় থেকে তৃণমূলের পতাকা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও ব্যানার খুলে ফেলেন এই তৃণমূল বিধায়ক। যেখানে তিনি লেখেন, কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর কার্যালয়ের ভেতরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে দিয়ে বিভিন্ন মনীষীদের ছবি লাগানো হয়। আর এরপরই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় মিহির গোস্বামীকে। তিনি বলেন, “কোনো ঠিকাদারি সংস্থাকে দিয়ে রাজনৈতিক দল পরিচালিত হতে পারে না। তাতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলভাবে রয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই যে প্রশান্ত কিশোর এখন বর্তমানে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন এবং তার কথা মত সমস্ত কর্মসূচি হচ্ছে, সেই প্রশান্ত কিশোরের বিরোধিতা করে কি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন এই তৃণমূল বিধায়ক? তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য থেকে কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল যে, তিনি দলের সঙ্গে এবার দূরত্ব পালন করতে শুরু করেছেন। কিন্তু যেভাবে তিনি প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন, তাতে তার দলবদলের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি মিহির গোস্বামীর মত কোচবিহার জেলার হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক দলবদল করেনহ তাহলে তা তৃণমূলের কাছে বড়সড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তবে মিহিরবাবুর একের পর এক মন্তব্য যে বর্তমানে শাসকদলকে ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!