এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ক্রমশ ইমরান বিরোধী সুর চড়ছে পাকিস্তানে! এবার কি তবে বদলাতে চলেছে সরকার?

ক্রমশ ইমরান বিরোধী সুর চড়ছে পাকিস্তানে! এবার কি তবে বদলাতে চলেছে সরকার?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে বলে জানা গিয়েছিল সম্প্রতি। নানা ঘটনায় সেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে রাস্তায় নামতেও দেখা গিয়েছিল মানুষকে। তবে সম্প্রতি সেই অভিযোগে ঘি পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর শহরের কাছে অবস্থিত গুজরানওয়ালা স্টেডিয়ামে ডাকা একটি সভা থেকে ইমরানের সরকারকে উত্‍খাতের ডাক উঠেছে।

আর তাতে নাকি সমর্থন জানিয়েছেন স্টেডিয়ামে উপস্থিত অসংখ্য মানুষ। বস্তুত, সেপ্টেম্বর মাসে ৯টি রাজনৈতিক দল মিলে গঠন করেছে পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট। আর এদিন এদেরই ডাকা সভায় এমন হয়েছে বলে জানা গেছে। আর এতেই ইমরান সরকারের কুরসি যে নড়বড় করছে সেই কথাই বলছেন রাজনীতিবিদরা।

এদিন গুজরানওয়ালা স্টেডিয়ামে যে তিন দল জমায়েতের ডাক দিয়েছিল তারা হল নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও জমিয়েত উলেমা-ই-ইসলাম-ফাজি। দেখা গেছে কয়েক হাজার মানুষের সেই সভা থেকে বস্তুত পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মদতেই ইমরান ক্ষমতায় এসেছে, এমন দাবি করা হয়।

শুধু চাই না, ২০১৮ সালে হওয়া জাতীয় নির্বাচনে জিতিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, এমন দাবিও তোলেন কেউ কেউ। আর তাই তাদের কথা শুনেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন বলে অভিযোগ জানান হয়েছে। সেই সঙ্গে ইমরান খানকে আইএসআই ও সেনাবাহিনীর চাকর বলেও কটাক্ষ করেছেন কেউ কেউ।

তবে এই প্রসঙ্গে ইমরান খান এতোটুকু চিন্তিত নয় বলেই জানিয়েছেন। তাঁর মতে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ রাস্তায় নামলেও তার জয় নিয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁকে দেশের জনগণ নির্বাচন করেছে। তাই তাঁর বিরোধীদের আন্দোলন নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। বস্তুত বিরোধী নেতাদের বিভিন্ন দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহারের জন্য তাঁর ওপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা চলছে বলেই এমন কাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই খবর পাওয়া গিয়েছিল ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট-বালুচিস্তান এলাকায় শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের নির্বিচারে খুন করে গুম করছে পাকিস্তান সরকার। যা নিয়ে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের মনে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে বলেই জানান হয়েছিল।

একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্টের খবর অনুযায়ী সেইসময় সামনে এসেছিল, পাক অধিকৃত ওই এলাকাগুলিতে অর্থনৈতিক করিডর বানানোর নামে কিভাবে যথেচ্ছ অত্যাচার চালাচ্ছিল পাকিস্তানি সরকার। সেখানকার মানুষদের পাকিস্তানের সংবিধানে উল্লেখিত কোনও অধিকারই দেওয়া হচ্ছিল না।

উপরন্তু বলা হয়, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাতেও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে সেইসময় মনে করা হয়, এর পিছনে হয়ত আইএসআইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে কোনও প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলেই রাতারাতি গুম করে দেওয়া হচ্ছিল বলেও জানা গিয়েছিল।

বস্তুত, ভারতের সম্পর্কে সহানুভূতির মনোভাব রাখা ওখানকার মানুষদের মন থেকে ভারতের সম্পর্ক ছিন্ন করতেই পাকিস্তান তাদের সমূলে ধ্বংস করার এই নীতি নিয়েছে বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় সংস্কৃতির কোনও ছাপ যাতে না থাকে তার জন্য ওই এলাকায় বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর এমন করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!