প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে টিভিতে বসে সিরিয়াল দেখার অভ্যাস চলে গেছে বহু মানুষের। অনলাইনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সেরা অনুষ্ঠান দেখার সঙ্গে সঙ্গে বাংলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভাষার ওয়েব সিরিজ নিয়ে উন্মাদনা বেড়েছে নেট জনতার। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কদর। মানুষ তাই টিভির পর্দা ছেড়ে, এখন ফোনের বা ল্যাপটপের পর্দাতেই মন দিয়েছে।

বস্তুত এই সমস্ত অনলাইন মিডিয়াগুলো বা অ্যাপ নিয়ে উন্মাদনা থাকলেও লকডাউনের সময় তা বেড়ে হয়েছে আরো অনেক বেশি। ঘরে বসে মানুষ তাই অনলাইনে নিজেদের অবসর উপভোগ করার উপায় খুঁজে নিয়েছে অনলাইন মিডিয়াগুলোর মধ্যে থেকেই। ওয়েব সিরিজ সিনেমা দেখার জন্য হইচই অ্যাপটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বলেই জানা গেছে।

তবে যারা এই অ্যাপটি দেখেন বা সাবস্ক্রাইব করা আছে, তাদের কাছে এটা নিশ্চয়ই পরিচিত যে, সেখানে জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম হলো “হ্যালো”। বস্তুত, বিয়ে ভাঙার গল্প থেকে ছোটবেলার প্রেম, সেখান থেকে সমকামিতা, এগুলো নিয়েই বোনা হয়েছিল গল্পের প্লট। কিন্তু পরবর্তীকালে যা বেশ থ্রিলারে পরিণত হয়।

ওয়েব সিরিজের প্রথমে একটি মেয়ে নিনা আর অনন্যর মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত গোপন সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কের জেরে অনন্য এবং নন্দিনীর বিয়ে ভাঙার গল্প দিয়ে শুরু হয়েছিল কাহিনী। কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা যায় প্রেমটা নিনার সঙ্গে অনন্যর নয় বরং নিনার সঙ্গে নন্দিনীর। আর এখানেই আসে টুইস্ট।

তবে পরে জানা যায়, প্রেম গড়ে উঠেছিল সেই ছোটবেলায়। আর সেই প্রেমের বিচ্ছেদকে মিলনে বদল করতেই অনন্যকে ব্যবহার করতে দেখা গেছে নিনাকে। আর এভাবেই শুরু হয়েছিল প্রথম সিজেন। অবশ্য এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে আবারো ফিরে আসতে দেখা গিয়েছিল দ্বিতীয় সিজন। যেখানে জমে উঠেছিল দুই নারীর প্রেম কাহিনী।

তবে সম্প্রতি শোনা গেছে শীঘ্রই আসতে চলেছে হ্যালো সিজন থ্রি। আর ইতিমধ্যেই কলকাতায় যার শুটিং শুরু হয়ে গেছে। যার পরে রাইমা এবং প্রিয়াঙ্কার মধ্যে বেশ ভালো মতো বন্ধুত্ব জমে উঠেছে বলেই ক্যামেরাবন্দি করা গেছে অফস্ক্রিন মুহূর্ত। তবে এই বিষয়ে কি বলছেন এই দুই নায়িকা?

এই ওয়েব সিরিজ নিয়ে প্রিয়ঙ্কাকে এর আগেও অবশ্য বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁর অভিনয় করা সেরা চরিত্র হল নিনা। কারণ চরিত্রটি সম্পূর্ণ নেগেটিভ না হলেও একটা সূক্ষ্ম বিষয় রয়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় সিজন নিয়ে রাইমা সেনের অভিব্যক্তি যে, দ্বিতীয় সিজন অনেকটা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের মতো হলেও এবারে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বেশ কয়েকটি সিন থাকায় বন্ধুত্বটা জমে উঠেছে তাঁদের।

তবে সেইসঙ্গে ‘হইচই’ এবং ‘এসভিএফ’-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র সোনির মতে তাঁরা সব সময়ই কোয়ালিটি কনটেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁদের অরিজিনালগুলোর মধ্যে তাই হ্যালো অন্যতম সেরা। দর্শকও পছন্দ করেছেন এটিকে। তাঁদের ক্রিয়েশনের মধ্যে থেকে এই ধরনের এক্সপেরিমেন্ট, নতুন কনটেন্ট নিয়ে ভবিষ্যতে আরও কাজ করার ইচ্ছে আছে বলেও জানা গেছে।