এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > পুজোয় ইলিশ নিয়ে বড়সড় দুঃসংবাদ, আমজনতার মাথায় হাত!জেনে নিন!

পুজোয় ইলিশ নিয়ে বড়সড় দুঃসংবাদ, আমজনতার মাথায় হাত!জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রুপালি শস্যের জন্য মাসের-পর-মাস বাংলার আমজনতা অপেক্ষা করে বসে থাকে চিরকাল। করোনা আবহে এবার লকডাউনের কারণে রব উঠেছিল, ইলিশ নাকি এবার নির্মল জলের ধারা অনুসরণ করে বাংলাদেশ থেকে সোজা এসে পৌঁছবে পশ্চিমবাংলায়। আর তারপরেই বাংলায় বাঙ্গালীদের পাতে ইলিশ শুধুই সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু হিসেব মিলল না কোনোমতেই। লকডাউন হলেও দূষণহীন নির্মল নদী পেলেও রূপোলী শস্য কিন্তু ধরা দিলনা।

যার ফলে গোটা বর্ষা জুড়ে বাংলাদেশের ইলিশের না দেখা মিললেও যা পাওয়া গেছে, সেইসব ইলিশের দাম শুনে রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার জোগাড় বাঙালির। বাজারে হানা দিলে দেখা গেছে, 1 কেজি ওজনের বা তার একটু বেশি ওজনের ইলিশের দাম প্রায় ছুঁয়েছে 1800 টাকা প্রতি কিলো। পরে অবশ্য কিছুটা দাম কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে 1500 থেকে 1400 টাকা। রবিবার নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর, রানাঘাটের বিভিন্ন বাজারে ইলিশের বিক্রি ছিল প্রতি কিলোগ্রাম 1200 টাকার আশেপাশে।

দামের ব্যাপারে পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে খুচরো মাছ বিক্রেতারা প্রত্যেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আপাতত আর ইলিশের দাম কমার কোনো রকম সম্ভাবনা নেই। এদিকে সামনেই আসছে দুর্গাপুজো। রীতি মেনে বাঙালি অনেক বাড়িতে দশমীর দিন জোড়া ইলিশ খাওয়ার চল আছে। এছাড়াও পুজোর ক’দিন বাঙালির পাতে ইলিশের দেখা মিলবে কিনা তা নিয়ে চলছে ব্যাপক উত্তেজনা। কিন্তু প্রায় 1200 টাকা কেজি দরে ইলিশ কিনে রান্না করার দুঃসাহস কতজন দেখাবেন, তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ থাকছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে রানাঘাট রেল বাজারের মাছ বিক্রেতা পবিত্র সরকার জানিয়েছেন, অন্যান্য বছর পুজোর সময় সপ্তমী, নবমী এবং দশমীর দিন ইলিশের প্রচুর চাহিদা থাকে। এবারেও সেরকমই চাহিদা থাকবে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে দাম। চাকদহ বাজারের বিখ্যাত ভরত বিশ্বাস রবিবার কমবেশি আটশো গ্রামের ইলিশ বিক্রি করেছেন 1200 টাকায় এবং এক কিলোগ্রামের ওপরের ইলিশ বিক্রি করেছেন 1400 টাকা কিলোগ্রামে। অন্যদিকে নবদ্দীপ আগমেশ্বরী বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবছর বাজারে ইলিশ সেরকম নেই আর।

যে কারণে দামের এত বাড়বাড়ন্ত। পুজো শেষ আগামী সোমবার, তার সাথে সাথেই ইলিশেরও দিন শেষ এবছরের মত বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে দেখা গেছে, বাংলাদেশে কিন্তু ভালই ইলিশ মিলেছে। কিন্তু দুই দেশে রপ্তানি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বাংলাদেশের ইলিশ এসে পৌঁছায়নি। আবার এ রাজ্যের নদীতেও ইলিশের দেখা মিলেছে কম। ফলস্বরূপ আকাশছোঁয়া দামের কারণে বাঙালির পাতে ইলিশের দেখা এবার প্রকৃতপক্ষেই কম মিলেছে। আর ইলিশ ছাড়া বাঙালি জাস্ট ভাবা যায়না। আপাতত অপেক্ষা আবারও এক বছরের। সামনের বছর বাঙালির প্রিয় খাবার ইলিশের ঝাল, ঝোল, অম্বলে বাঙালির পাতে সেজে উঠুক সে কামনাই সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!