এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘ লবিবাজি’র অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল দলীয় নেতাদের, চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে!

মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘ লবিবাজি’র অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল দলীয় নেতাদের, চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে এখন সবথেকে বেশি উদ্যোগী হয়ে উঠেছে। বারবার করে রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, যাতে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ হয়। কিন্তু কাজের কাজ যে কিছুই হচ্ছে না, তা আবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এবার ফের তৃণমূলের যুব বনাম মাদারের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। সূত্রের খবর, এবার কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মিছিল হলেও সেখানে মাদার সংগঠন বনাম যুব সংগঠনের লড়াই সামনে চলে এল। যার জেরে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়েছে শাসক দল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার বাঁকুড়ার রানিবাঁধে বিজেপির জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে জেলা যুব তৃনমূলের সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ দাস একটি মিছিল ডেকেছিলেন। কিন্তু এই মিছিল শেষে সভা করে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। আর এর পরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এদিন যুব তৃনমূলের বিদ্যুৎ দাস বলেন, “জেলা সভাপতি এই মঞ্চকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু মানুষের ভিড় প্রমাণ করে দিল, কার সঙ্গে সমর্থন রয়েছে। তিনি মিছিল আটকাতে চেয়েছিলেন। আমরা রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতি নিয়ে মিছিল করেছি। উনি বারণ করেছিলেন মিছিলে আসতে। তাও এত মানুষ এসেছেন। আমাদের সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। কেউ কেউ দলবাজি, লবিবাজি করছে। সেটা তার ব্যাপার। আমরা দলকে জেতানোর জন্য লড়ব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর একেবারে সরাসরি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে জেলা যুব তৃনমূলের সহ-সভাপতি বিস্ফোরক মন্তব্য করায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করার কথা বলা হলেও, যেভাবে যুব এবং মাদারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস যে বাঁকুড়া জেলায় ব্যাপক অসুবিধের মুখে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিন্তু যুব তৃনমূলের সহ-সভাপতি যে কথা বললেন, তা কতটা সত্যি? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, “তৃনমূল পরিবার বড় পরিবার। অনেকে অনেক কিছুই বলতে পারেন।” তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই পথে নেমে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির অন্যতম নেতা শ্যামল সরকার বলেন, “এগুলো হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গণ্ডগোল। কারণ দলের বিষয় এদের কারও কথার মূল্য নেই। তৃণমূল দলটাকে এখন প্রশান্ত কিশোর আর পুলিশ চালায়।” সবমিলিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার কথা বলা হলেও, বাঁকুড়া জেলায় তৃণমূল বনাম যুবর গোষ্ঠী কোন্দল অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!