নির্বাচন কমিশনকে ‘চ্যালেঞ্জ’ করতে গিয়ে বড়সড় ধাক্কা তৃণমূল নেত্রীর – জানুন বিস্তারিত কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য April 7, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গদেশে নির্বাচনী দামামা বেজে গেছে পুরোদমে। আর সেই রাজনৈতিক যুদ্ধে ময়দানে বামফ্রন্ট বা কংগ্রেস থাকলেও মূল লড়াইটা হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে – তা যেন প্রতি পদে প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। প্রথম দফার ভোটগ্রহণের আর মাত্র চারদিন বাকি – এমত অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংঘাত প্রকাশ্যে চলে এল। গত শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে এক নির্দেশিকা দিয়ে নির্বাচন কমিশন কলকাতা, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সহ রাজ্যের চার গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ অফিসারের বদলির নির্দেশ পাঠায় নবান্নে। যার পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমত ‘যুদ্ধং দেহি’ মনোভাব নিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পিছনে ‘রাজনীতির গন্ধ’ আছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী গতকালই এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি লেখেন। ভোটের মুখে এই পুলিশ কর্তাদের অপসারণ তৃণমূল কংগ্রেস যে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না – তা এইসব পদক্ষেপেই ক্রমশ দিনের আলোর মত স্পষ্ট হতে থাকে। তার উপরে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে মুখ্যমন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অনুজ শর্মাকে সরিয়ে যাঁকে বসানো হয় সেই রাজেশ কুমার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে জল্পনা ছড়ায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সমগ্র ঘটনায় যখন রাজ্য-রাজনীতি জমজমাট ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির জবাব পাঠাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই জবাবি চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর তোলা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে উপনির্বাচন কমিশনার চন্দ্রভূষণ কুমার নবান্নকে জানিয়েছেন, ভোটের প্রস্তুতি দেখার পর কমিশন ও বিশেষ কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টের ভিত্তিতেই চার পুলিশকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করে কমিশন জানিয়েছে, বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশে নির্বাচকদের কাছে দায়বদ্ধ নির্বাচন কমিশন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সরকাররা। ‘আদর্শ আচরণবিধির’ সময় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের একটি পদক্ষেপকে স্বৈরাচারী ও কেন্দ্রের শাসক দলের পক্ষপাতিত্ব করার তকমা দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক! অর্থাৎ সব মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সহমত হওয়া তো দূরের কথা – তৃণমূল কংগ্রেসের এই পদক্ষেপে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এহেন উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিকমহলে জল্পনা ছড়িয়েছে যে আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সংঘাত আরও কি বাড়বে? তৃণমূল কংগ্রেসের তোলা অভিযোগকে যে কমিশন মোটেই ভালো চোখে নেয় নি – তা জবাবি চিঠির বয়ানেই স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তার উপরে জল্পনা ছড়িয়েছে – শুধুমাত্র এই চার পুলিশ আধিকারিকই নন – আগামী দিনে রাজ্যের আরও বেশ কিছু পুলিশ ও জেলা অধিকারিককেও সরিয়ে দিতে পারে কমিশন। কেননা, সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন জেলা আধিকারিকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জমা পড়েছে। এমনকি, কমিশনের নির্দেশ কার্যকরের ক্ষেত্রে প্রশাসনিকস্তরে অনীহার মত গুরুতর অভিযোগও উঠেছে। সবমিলিয়ে আগামীদিনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশন আরও কড়া বলে মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -