এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ইডি দপ্তরে রুজিরা! জেরা হোক, তবে আজই কঠোর পদক্ষেপ! জোরালো দাবি বিরোধীদের!

ইডি দপ্তরে রুজিরা! জেরা হোক, তবে আজই কঠোর পদক্ষেপ! জোরালো দাবি বিরোধীদের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এর আগে যখন তাকে ইডি আধিকারিকরা ডেকেছিল, তখন তিনি গিয়েছিলেন হাজিরা দিতে। তবে এবার তার শ্বশুর, শাশুড়িকে ডাকা হলেও তারা নথি দিয়ে দায় সেরেছেন। তাই শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত হবেন কি না, তা নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন ছিল প্রথম থেকেই। তবে অবশেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইডি দপ্তরে পৌঁছে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহধর্মিনী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত এবার রুজিরাদেবীকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার কারণেই এই তলব করা হয়েছে বলে খবর। মূলত, তার সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্স কোম্পানি কি যোগ সাজশ রয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তথ্য নিতে চান। আর সেই কারণেই তাকে এই জেরার জন্য ডাকা হয়েছে। তবে যে কারণেই ডাকা হোক না কেন, বিরোধীরা অবশ্য দাবি করছে, ডাকাডাকি অনেক হলো। এবার জেরার পর এমন একটা পদক্ষেপ নিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, যাতে তাদের সম্পর্কে বিশ্বাস বাড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা এবং বাবাকে ইডির পক্ষ থেকে তরফ করা হয়েছিল। তবে তারা নথি পাঠিয়েই দায় সেরেছেন। তাই তাদের পথেই আজ অভিষেকবাবুর সহধর্মিনী হাটেন কিনা, নাকি তিনি ইডির দপ্তরে আসেন, তার দিকে সকলের নজর ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ইডি দপ্তরে এলেন। বলা বাহুল্য, এতসবের মাঝেই মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কার্যত ডেডলাইন ছিল যে, তাকে তার কোম্পানির সমস্ত নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে জমা দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত তিনি মধ্যরাতে সেই নথি জমা দিয়েছেন‌। তাই তা দেখে কেন্দ্রীয় সংস্থা অভিষেকবাবুকে ডাকবে কিনা, সেটা পরের বিষয়। কিন্তু তার মাঝেই তার সহধর্মিনী আজ ইডি দপ্তরে পৌঁছে যাওয়ার কারণে আশা আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

বিরোধীদের দাবি, লিপস অ্যান্ড বাউন্স কোম্পানির সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির একটা যোগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ফলে সেদিক থেকে এবার আর ডাকাডাকি করে বা জেরা করে ছেড়ে দিলে হবে না। এবার একটা পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিতেই হবে। এমনিতেই তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা সাধারণ মানুষের মনে কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। তাই নিজেদের বিশ্বাস ফেরানোর জন্য রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করেই যদি ছেড়ে দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা, তাহলে সাধারণ মানুষ রেজাল্ট কবে দেখতে পাবে, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। কারণ, আসল সত্য উদ্ধার হবে। সাধারণ মানুষও আশা করে বসে রয়েছেন। কিন্তু ডাকাডাকি, তল্লাশি, জেরা এতদিন অনেক হয়েছে। তাই এবার পদক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরাও।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছেও হাত-পা বাঁধা। তারা বড় পদক্ষেপ নেওয়ার আগে দুবার ভেবেই সেই পথে হাঁটতে চাইছে। কিন্তু আদালত তো তাদের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে, দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে। তাই এবার জেরা করার পাশাপাশি ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় সংস্থা পদক্ষেপ নেওয়ার রাস্তায় হাঁটবে। আর তাতে অনেক রাঘব বোয়ালের ঘুম উড়বে। তবে আজকের জেরা পর্বে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই কড়া মনোভাবের কোনো প্রভাব পড়বে কিনা, তা অবশ্য নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কোনো পক্ষই। দিনের শেষে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!