এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চরম লজ্জায় রাজ্য! রাতভর আন্দোলনে চাকরি প্রার্থীরা! আর কবে ঘুম ভাঙবে মমতার? প্রশ্ন বিরোধীদের!

চরম লজ্জায় রাজ্য! রাতভর আন্দোলনে চাকরি প্রার্থীরা! আর কবে ঘুম ভাঙবে মমতার? প্রশ্ন বিরোধীদের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বেকারদের আর কত যন্ত্রণা সহ্য করবেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে রয়েছেন। তবুও সরকারের ঘুম ভাঙছে না। বিদেশ সফর করছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। তারপর এসে অসুস্থতার কারণে এখন বাড়িতে রয়েছেন তিনি। কিন্তু যে চাকরি প্রার্থীরা খাওয়া নেই, ঘুম নেই, দিনের পর দিন রাস্তায় বসে রয়েছেন, এবার তাদের একটি বিক্ষোভ আবার চরম লজ্জায় ফেলে দিল নবান্নকে। অন্তত তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। পুলিশি বাধার কারণে শেষ পর্যন্ত এপিসি ভবনের আগেই বিক্ষোভে বসে রাতভর সেখানেই নিজেদের প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলেন প্রাথমিকের টেট উত্তীর্ণরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার 2022 এর প্রাথমিকের টেট উত্তীর্ণরা আশা করেছিলেন, তাদের চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে। কিন্তু বারবার সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, এবারেও তা পালন করা হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত করুণাময়ী থেকে এপিসি ভবন পর্যন্ত তাদের একটি মিছিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই মিছিল শুরু হতেই পুলিশি বাধা লক্ষ্য করা যায়। যেখানে এপিসি ভবনের আগেই পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয় সেই চাকরিপ্রার্থীদের। আর তারপরেই রাস্তায় ঝাল মুড়ির কৌটো নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানাতে থাকেন চাকরি প্রার্থীরা। প্রায় সারা রাত মঙ্গলবার তারা সেখানেই বসে নিজেদের প্রতিবাদ জারি রেখেছেন। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, প্রতিবাদ করার মতো গণতান্ত্রিক অধিকারকেও কি এই রাজ্যে অমান্য হিসেবে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার? ভাত দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই এই রাজ্যের। কিন্তু আন্দোলন করে যে সরকারের পর্যন্ত তা পৌঁছে দেবেন আন্দোলনকারীরা, তাকেও ভেস্তে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ বলেই দাবি সমালোচকদের।

ইতিমধ্যেই এই শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন দেখে সরকারকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, আর কবে ঘুম ভাঙ্গবেন রাজ্য সরকার এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? পুজো চলে আসছে। প্রত্যেকবার পুজোর আগে এই শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা আশার আলো দেখেন। ভাবেন, তাদের চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। কিন্তু তারা টেট উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও তাদেরকে যেভাবে অমান্য করছে এই রাজ্য, তা সত্যিই অত্যন্ত বেদনার বিষয়। রাজ্যে নতুন চাকরি নেই, বেকার যুবক যুবতীরা কোথায় যাবে? তাই শেষ পর্যন্ত তারা আন্দোলনের রাস্তা বেছে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সারারাত ধরে ঘুমোচ্ছেন নিশ্চিন্তে। কিন্তু এই ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেমেয়ে গুলোর আর্তনাদের আওয়াজ কি তার কান পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না? যদি পৌঁছেই থাকে, তাহলে কেন তিনি তার মানবতার হাত এই আন্দোলনকারীদের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের দিকে, সফল টেট উত্তীর্ণদের দিকে এই রাজ্য সরকারের নজর দেওয়ার মতো সময় নেই। তারা তো পুলিশ দিয়ে তাদের কণ্ঠরোধ করতেই ব্যস্ত। তাই সরকারের কাছে এই চাকরি প্রার্থীরা তাদের দাবি পৌঁছে দেবেন কি করে? মাঝ রাস্তায় তাদেরকে আটকে দেওয়া হলো। সারারাত ধরে কিছু ছেলেমেয়ে সেখানে বসে মশার কামড়ের মধ্যে রাত কাটালেন। আর সরকারের মন্ত্রীরা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য একটা প্রতিক্রিয়া পর্যন্ত দিতে পারলেন না? বিরোধীরা বলেন, এই রাজ্যে তো একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্প পোস্ট। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী তো একটি সিদ্ধান্ত নিলেই এই কিছু ছেলে মেয়ের চাকরি হয়ে যায়। আর তারা তো ন্যায্য দাবিতে চাকরি চাইছেন। তাই কেন তাদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না! আর কতদিন তারা এভাবে কষ্ট করে আন্দোলন করবেন? নাকি সরকার চাইছে, আন্দোলন করতে করতেই চাকরিপ্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে যাবে। তারপর আর সরকারকে চাকরি দিতে হবে না। যদি এই রাস্তাই সরকার বেছে নিয়ে থাকে, তাহলে আগামী দিনে আদালতের দরজায় নবান্নকে নাকানি চোবানি খাওয়ানোর জন্য তৈরি আন্দোলন কারীরাও। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!