প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পান্ডের দেহরক্ষীকে পুলিশের লাঠিপেটা এবং তারপরে পাগড়ী খুলে নেওয়ার ঘটনায় ক্রমশ চাপ বাড়ছে রাজ্য তৃণমূল সরকারের ওপর। সূত্রের খবর, রবিবার এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দিল্লির গুরদ্বারা প্রবন্ধন কমিটির এক প্রতিনিধি দল কলকাতায় আসেন। আর তারপরই গোটা ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে হাওড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তারা। আর এই প্রতিনিধিদল কলকাতায় পৌঁছনোর পর থেকেই ক্রমাগত অস্বস্তি বৃদ্ধি পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অফ স্পিনার হরভজন সিং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে একটি টুইট করেন। স্বভাবতই যত সময় যাচ্ছে, ততই এই ঘটনায় চাপ বাড়তে শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের ওপর। যার ফলে রাজ্যের শাসক দল অনেকটাই চাপে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা রবীন ঠকরাল একটি টুইট করে বলেন, “পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেছেন এটা ঠিক হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে এক যুবকের গ্রেপ্তারের সময় তার পাগড়ী খুলে ফেলা হয়েছে। ওই যুবকের মানহানির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী স্তম্ভিত। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করা হয়েছে।”

একইভাবে শিরোমনি অকালি দলনেতা সুখবীর সিং বাদলও এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন। এদিন তিনি বলেন, “শেখ দেহরক্ষী বলবীর সিংয়ের উপর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আক্রমণ এবং তার পাগড়ি খুলে নেওয়ার ঘটনায় কড়া নিন্দা করি। এই ঘটনা গোটা বিশ্বের শিখ সম্প্রদায়কে খেপিয়ে তুলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাই।”

স্বাভাবিকভাবেই ভিন রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা এই ঘটনায় তৃণমূল সরকারের পুলিশ প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। একাংশ বলছেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় বলেন, তার চোখে সব সম্প্রদায়ের সমান, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ যেভাবে এক সম্প্রদায়ের মানুষকে হেনস্থা করল, তা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন ঘটনা।

সব মিলিয়ে এবার এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের চাপ যে অনেকটাই বেড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পুলিশমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।