এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নারীশক্তিতে ভর করেই বিধানসভায় বাজিমাতের পরিকল্পনা তৃণমূলের, সামনে এল বড়সড় পদক্ষেপ

নারীশক্তিতে ভর করেই বিধানসভায় বাজিমাতের পরিকল্পনা তৃণমূলের, সামনে এল বড়সড় পদক্ষেপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তৃণমূলের ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পেছনে তাদের আন্দোলন যেমন প্রশংসনীয় ঠিক তেমনই সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাকে অস্বীকার করতে পারেন না। কেননা একজন মহিলা যেভাবে 34 বছরের বাম শাসনের সরিয়ে দিতে একা লড়াই করে গেছেন, তা তৃণমূলের কাছে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ হিসেবে বরাবরই থেকে যাবে। প্রায় প্রতি নির্বাচনেই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিখণ্ডী করে তৃণমূলের অনেক ছোট নেতা বড় হয়েছেন। অর্থাৎ তৃণমূল যে নারী শক্তির ওপরে ভর করেই এগিয়ে যাচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন।

প্রকাশ্যে তারা এই নির্বাচন সহজে পার হয়ে যাবেন দাবি করলেও, মনে মনে কিছুটা হলেও শঙ্কা রয়েছে। কেননা যত দিন যাচ্ছে, তত বিজেপির দাপট বাড়ছে বাংলায়। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নারী শক্তির ওপর ভর করেই নিজেদের সংগঠনকে সাজাতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ার পরেই এদিন কোচবিহারের দিনহাটার পেটলায় তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে আগামী দিনে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কিভাবে মহিলাদের পথে নামতে হবে, তার ব্যাপারে তৃণমূলের মহিলা কর্মী সমর্থকদের বার্তা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, এদিনের এই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, সংগঠনের মহিলা সভানেত্রী প্রমিতা রায় সরকার, সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সংগীতা রায় বসুনিয়া সহ অন্যান্যরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে আবার তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় আসতে গেলে তৃণমূলকে তাদের সংগঠন আরও শক্তিশালী করতে হবে। একদিকে দলের গোষ্ঠী কোন্দল এবং অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় নেতাদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে। তাই এই পরিস্থিতিতে দলকে এক ছাতায় আনতে কড়া বার্তা দিচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।

বার্তা দেওয়া হচ্ছে দলের সমস্ত শাখা সংগঠনকে একত্রিত হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নামার জন্য। আর তারই অঙ্গ হিসেবে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে মহিলাদের এককাট্টা করে পথে নামাতে কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।এদিন এই প্রসঙ্গে সিতাইয়ের তৃনমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া বলেন, “লকডাউনের জন্য অনেকদিন থেকে মহিলা সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। সেজন্য দিনহাটা ব্লকের 12 গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা নেতৃত্বকে নিয়ে এদিন আমরা একটি কর্মীসভা করেছি।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মহিলাদেরকে মাঠে নামানোর জন্য এই কর্মীসভা করা হলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, “তৃণমূলের হিংসাত্মক রাজনীতির উপর জেলার মানুষের বিশ্বাস নেই। সেজন্য তারা গত লোকসভা নির্বাচনে আমাদের দলের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জিতিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই ওরা এলাকায় এলাকায় আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ভয় দেখাতে শুরু করেছে। তাছাড়া কেন্দ্রের মোদি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে যে কাজ করেছে, তা নিয়ে আমাদের গৃহসম্পর্ক যাত্রা শুরু হয়েছে। আর তাতেই ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে। সেজন্য এখন মাঠে নেমেছে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কোচবিহারে অনেকটাই শক্তিশালী। গত লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর তাদের দাপট আরও বেড়েছে। তবে তৃণমূল বর্তমানে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে তাদের সমস্ত শাখা সংগঠনকে এখন সক্রিয় করতে শুরু করেছে। কিন্তু যদি সত্যি সত্যিই তৃণমূল তাদের মুখের কথা মত মহিলা সংগঠনকে শক্তিশালী করে ময়দানে নামায়, তাহলে বিরোধী দলকে অনেকটাই চাপে পড়তে হতে পারে।

কেননা যে কোনো দলেই মহিলা, ছাত্র এবং যুব যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে তাদেরকে মোকাবিলা করতে গিয়ে অসুবিধে হতে পারে অন্যান্যদের। সেদিক থেকে নারী শক্তির ওপর ভর করে তৃণমূল কোচবিহার জেলায় খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, তাতে তারা কতটা সাফল্য পায় এবং গেরুয়া শিবিরকে কতটা চাপে রাখতে পারে, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!