জমে থাকা কাজ তুলতে সচিবের “বিশেষ” পদক্ষেপ, জানতে পেরেই রদ শিক্ষামন্ত্রীর রাজ্য November 22, 2018 এবছর সরকারি কর্মীদের ছুটির পর ছুটি। কিন্তু এই ছুটির মরসুমে রাজ্য সরকারি ছুটির “আধিক্য” থেকে দফতরকে আলাদা করতে চেয়েছিলেন স্কুল শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন।জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে যে দুদিন ছুটি রয়েছে, সেই দুদিন অন্তত দপ্তরের প্রত্যেক কর্মীকে এক বেলা করে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন সেই স্কুল শিক্ষা সচিব। কিন্তু এবার সেই সচিবের নির্দেশকেই প্রত্যাহার করে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বছরে মহালয়ার দিন থেকেই লাগাতার ছুটি চলছে। চলতি সপ্তাহেও আজ ফতেহা দোয়াজ দহম ও আগামী 23 তারিখ গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে রাজ্য সরকারি দপ্তরে ছুটি রয়েছে। আর এই লাগাতার ছুটিতে দপ্তরের কাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করার জন্য এই দুদিন ছুটির দিনেও আংশিক সময় কাজের উদ্যোগ নিয়েছিলেন স্কুলশিক্ষা দপ্তরের সচিব। কিন্তু এবার সচিবের সেই নির্দেশকেও প্রত্যাহার করে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার এক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে সমস্ত আধিকারিকদের শিক্ষাসচিব নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, বুধবার এবং শুক্রবার যেন আংশিক সময় কাজ করা হয়। যার কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন যে, যেহেতু শিক্ষাবর্ষে জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়, তাই বছরের শেষ তিন মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই শেষ তিন মাসের মধ্যে লম্বা ছুটি কাটিয়ে যদি দফতরের কর্মীরা কাজে যোগ দেন তাহলে আদতে সকলেরই সুবিধা হবে। আর এরপরই সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শিক্ষাসচিব সকলের উদ্দেশ্যে আবেদন জানান যে, “এই দুটি ছুটির দিনে অন্তত অফিসের এক বেলা কাজ করে জমা কাজ শেষ করতে কর্মীরা নিজেদের দায়বদ্ধতা প্রমাণ করুন।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিকে ছুটির দিনেও শিক্ষা সচিবের পক্ষ থেকে এহেন নির্দেশনামা জারি করায় স্তম্ভিত অনেকেই। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সমর্থিত কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক দিব্যেন্দু রায় বলেন, “কোন পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানি না। সরকার বা মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে এই পদক্ষেপের কারণও অস্পষ্ট।” সব মিলিয়ে এখন আজ এবং আগামী শুক্রবার ছুটির দিনেও শিক্ষা দপ্তরে আদৌ কাজ হবে কি না সেই নিয়ে প্রবল সংশয়ে কর্মীরা। আপনার মতামত জানান -