এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একাধিক স্থানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও ভাঙ্গনের আশঙ্কা তৃণমূলে, সেইসঙ্গে আক্রান্ত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়

একাধিক স্থানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও ভাঙ্গনের আশঙ্কা তৃণমূলে, সেইসঙ্গে আক্রান্ত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক দল তৃণমূলে বারবার তীব্র হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দল ছেড়ে গেছেন দলের বেশ কিছু হেভিওয়েট। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভার জনৈক বিদায়ী কাউন্সিলার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। তার এই পোষ্ট দিয়ে তৈরি হলো ব্যাপক জল্পনা। আবার কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। কেশপুরে আক্রান্ত হলো তৃণমূলের দুটি দলীয় কার্যালয়।

প্রসঙ্গত কলকাতা পুরসভার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা কোঅর্ডিনেটর সুদীপ পোল্লে সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন যেখানে তিনি লিখেছেন, ” আমার চাওয়াটা তোমাদের কাছে গুরুত্ব নেই, তা ঠিক আছে, কিন্তু পরে দোষ দিও না। ” তাঁর এই পোস্ট ক্ষুদ্র হলেও, তাকে ঘিরেই তীব্র জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

কারণ, ইতিপূর্বে তৃণমূলের বেশকিছু হেভিওয়েট প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর ধাপে ধাপে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে তৃণমূল ছেড়ে যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। আবার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সুদীপ পোল্লে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আছেন। আগামীকাল শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপির পথযাত্রায় যোগদান করতে চলেছেন। তার পূর্বেই তাঁর এই ফেসবুক পোস্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবার প্রকাশ্যে। কোচবিহারের পুর প্রশাসক ভূষণ সিং এর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগ আনা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র ভাবে সরব হয়ে উঠেছেন। এবার তাঁকে অপসারণ করার দাবি জানালেন তৃণমূল দলের একাংশ। পুর প্রশাসক ভূষণ সিং জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীই তাঁকে প্রশাসক করেছেন, তিনি বললেই সরে যাবেন তিনি।

অন্যদিকে আজ কেশপুরে তৃণমূলের দুটি দলীয় অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তবে, বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আনন্দপুর থানার বনকটি গ্রামে জনৈক বিজেপি কর্মীকে মারধর করেছিল তৃণমূল কর্মীরা। তবে, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে তারা হামলা করে নি।

আবার, আজ বর্ধমানের শক্তিগড়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বাধে। দু’দলের হাতাহাতিতে দু’পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন। বর্ধমানে তৃণমূলের মিছিলে বিজেপি হামলা করেছে বলে, অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে, বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তৃণমূলের মিছিলে যেতে জোর করে বাধ্য করা হয়েছিল বিজেপি কর্মীদের। তারা রাজি না হওয়ায় তাদের উপর হামলা করেছে তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!