এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > একেবারে বালির বাঁধের মতো ভাঙছে দল রাজ্য সভাপতির গড়ে, বড়সড় আশঙ্কা দানা বাঁধছে হাত শিবিরে

একেবারে বালির বাঁধের মতো ভাঙছে দল রাজ্য সভাপতির গড়ে, বড়সড় আশঙ্কা দানা বাঁধছে হাত শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনৈতিক দলে ভাঙ্গা-গড়া কোন নতুন ব্যাপার নয়। দলের ভাঙ্গন যেমন চলতে থাকে, তেমনি দলে চলতে থাকে যোগদান পর্ব। কিন্তু কোন দলে যদি বারবার ভাঙ্গন দেখা দেয়, তবে তা যে দলের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর দলের নেতৃত্ব যদি হাত গুটিয়ে বসে থাকেন, তবে দলের ভাঙ্গন যে আরো বেশি ত্বরান্বিত হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনই অবস্থা দেখা যাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর জেলা মুর্শিদাবাদে।

জেলার একের পর এক হেভিওয়েট নেতা কার্তিক সাহা, আশিস দে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাঁরা দলের বড় অংশকে তৃণমূলে নিয়ে যাবেন বলে, জল্পনা ছড়াতে শুরু করেছে। তাদের মধ্যে আছেন এক হেভিওয়েট কাউন্সিলর। কার্তিক সাহা কংগ্রেসে থাকাকালীন শহর সভাপতি ছিলেন । এরপর শহর সভাপতি হিসেবে অরিন্দম দাসের নাম ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ সময় তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন। এখন তিনি আছেন কংগ্রেসে। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে তার যথেষ্ট ঘনিষ্টতা এখনো রয়েছে।

তাই নবাগতকে দায়িত্ব দেওয়ায়, দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস করছেন, তাঁরা কি এই দায়িত্ব নিতে পারতেন না, উঠেছে প্রশ্ন। জানা গেছে, অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলেই এই পদে আনা হয়েছে তাকে। অভিযোগ উঠেছে, নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছেন না তিনি। তাঁর কাজ দলের মধ্যে ভাঙ্গন ও দলের বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে, এ প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস জানিয়েছেন যে, অরিন্দম দাস নতুন সভাপতি হয়েছেন। তাকে কিছুটা সময় দাওয়া দরকার। তিনি চেষ্টা করছেন দলের কর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে চলতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বহরমপুরের প্রাক্তন পুর প্রধান নীলরতন আঢ্য যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন কংগ্রেসের সঙ্গে। যদিও এখনো তিনি তৃণমূল ছেড়ে দেননি। তাই তাঁকে নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস জানিয়েছেন, একদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। কিন্তু পরবর্তীতে তৃণমূলে গুরুত্ব না পেয়ে, কংগ্রেসে আসার চেষ্টা করছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, বিতর্কিত নেতাদের পুনর্বাসন শিবির নয় কংগ্রেস।

এভাবে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও ভাঙ্গনে পর্যুদস্ত হয়ে পড়ছে কংগ্রেস। সেইসঙ্গে করছে একের পর এক নেতার তৃণমূলে যোগদান। একসময় মুর্শিদাবাদ বলতেই বোঝাত কংগ্রেসকে। কংগ্রেসের এই অবস্থার পুরো সুবিধা দিচ্ছে বিজেপি ও তৃণমূল। কংগ্রেসের দাবি, দলের শক্তিশালী ভিত রয়েছে। উপর থেকে যা দেখা যাচ্ছে, তা প্রকৃত অবস্থা নয়। সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করবে দল আগামী দিনে। কংগ্রেসের ওপর এখনো ভরসা আছে মানুষের। তবে, দলের একাংশ জানাচ্ছেন যে, সামনেই ভাঙ্গনের অপেক্ষায় রয়েছে দল। আর ভাঙ্গনের কথা জেনেও ভাঙ্গন রোধ করার কোনো চেষ্টা নেই দলের নেতাদের মধ্যে। দলের ভাঙ্গন রোধে বালির বাঁধ দিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় নেমেছে দল। এরফলে যেমনটা ঘটার, তেমনটাই ঘটছে বলে, জানালেন জনৈক বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!