এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এখন কোনও দাদার দল নেই! তীব্র বিতর্ক শুরু কর্মীসভায় হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বক্তব্য ঘিরে

এখন কোনও দাদার দল নেই! তীব্র বিতর্ক শুরু কর্মীসভায় হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বক্তব্য ঘিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনে কড়া নাড়ছে রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন। আর এই বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের দলকে সুদৃঢ় করতে উঠে পড়ে লেগেছেন তৃণমূল দলের সুপ্রিমো, তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বারবার তাঁর অনুগামীদের নির্দেশ দিয়েছেন, দলের মধ্যে থেকে অনৈক্য, মতান্তর, বিভেদ, সম্পূর্ণভাবে দূর করে সকলকে এক হয়ে চলতে, সেইসঙ্গে তিনি দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বচ্ছ থাকতে।

কারণ, স্বচ্ছতার বিষয়টি এবারের ভোটে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হতে চলেছে। তবে দলের কলেবর বৃদ্ধি পাওয়ায় দলের এতজন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখাটা সহজ ব্যাপার নয় তা স্বীকার করে নিয়েছেন অনেকেই। তার উপরে শাসকদলের বেশ কিছু নেতা ইতিমধ্যেই তির্যক মন্তব্যে রীতিমতো হাত পাকিয়েছেন। আর শাসক দলের বিভিন্ন নেতার বিভিন্ন সময়ে করা তির্যক মন্তব্য যেমন একদিকে বিতর্ক যেমন বানিয়েছে, তেমনি বাড়িয়েছে বিভেদ। এই আবহে স্বাধীনতা দিবসের দিন অর্থাৎ গত শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের মঞ্চে দলের জেলা সভাপতির একটি বক্তব্য দলের মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক বাড়িয়ে দিল।

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে স্বাধীনতা দিবসের দিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর বাসস্ট্যান্ডে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে একটি বিশেষ কর্মীসভার আয়োজন করেছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতম দাস। এই মঞ্চে গৌতম বাবুকে বলতে শোনা গেছে, ” এখন জেলায় কোনও দাদার দল নেই। এখন তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চলবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেছেন যে, যারা তৃণমূল দলে থেকে সঠিকভাবে কাজ করতে চান, অবশ্যই তাঁরা প্রত্যেকে কাজের সুযোগ পাবেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, সম্প্রতি নতুন করে জেলা ও ব্লক কমিটি গঠন করতে চলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নতুন এই সমীকরণের ফলে দলে স্বচ্ছ মুখের মানূষেরা যেমন স্থান পাবেন, তেমনি দলে স্থান পাবেন ‘অপরাধী’ বা ‘ক্রিমিনাল’ তকমাধারী তৃণমূল সদস্যরাও।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেছেন যে, যেসব তৃণমূল নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যেই ‘অপরাধী’ তকমা লাভ করেছেন, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে কেউই অপরাধী নন, কোন অপরাধ তাঁরা করেননি, শুধুমাত্র নিজের দলের হয়ে কাজ করতে গিয়ে বিরোধীদের কাছে ‘অপরাধী’ হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “সকলকে নিয়েই আমরা জেলায় তৃণমূলকে ফিরিয়ে আনব।”

গৌতম বাবুর এই মন্তব্য দলের মধ্যে যেমন বিতর্কর ঝড় তুলেছে তেমনি অন্যান্য দলের সদস্যরাও গৌতম বাবুর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছেন। এ প্রসঙ্গে বালুরঘাটের বিজেপি সংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “গোটা তৃণমূল দলই ক্রিমিনালে ভর্তি। ভালো মানুষ যে নেই সেটা জেলা সভাপতি স্বীকার করছেন।”

এ প্রসঙ্গে সুকান্ত  বাবু আরও বলেছেন যে, বর্তমানে তৃণমূল দলে নতুন জেলা সভাপতি এসেছেন তাই তিনি সত্যি কথাটি স্বীকার করেই নিয়েছেন। তৃণমূল দল সম্পর্কে সুকান্ত বাবু এক গুরুতর অভিযোগ করে জানিয়েছেন, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে, তার চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছুই হতে পারে না

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!