প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক দল তৃণমূলে ক্রমশই দেখা দিচ্ছে ভাঙ্গন। দলের আশঙ্কা বাড়িয়ে একের পর এক হেভিওয়েট দল ছাড়তে শুরু করেছেন। গতকাল রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভার সাংসদ পদ ও দলের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। এদিকে তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়েও জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। সম্প্রতি দিল্লি গেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে দলের ভাঙ্গন ও অন্যান্য বিষয়ে শাসকদল তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ গড়বেতায় গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গড়বেতায় বিজেপির আয়োজিত সভায় যোগদান করেছিলেন তিনি। এই সভায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন টলিউড অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। অভিনেতাও তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। আর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র ভাবে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত, ক্ষুরধার বক্তব্যের জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যথেষ্টভাবে প্রসিদ্ধ আছেন। আজ গড়বেতা থেকে রসিক সুলভ ভঙ্গিমায় তৃণমূল দলের ভাঙ্গনকে কটাক্ষ করলেন তিনি। তিনি জানালেন যে, তাঁরা গ্রামে দেখেছেন শ্রাবণ মাসে গাছ থেকে ধপ ধপ করে পড়ে যায় পাকা তাল। ঠিক তেমনভাবেই তৃণমূল থেকে সমস্ত নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রী,সাংসদ পাকা তালের মত পড়ে যাচ্ছেন। আর মুখ্যমন্ত্রী(দিদি) ভাবছেন কি হলো?

শাসক দল তৃণমূলের ভাঙ্গনকে তীব্র কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, তৃণমূলের একজন নেতা হয়তো সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে চা খেয়েছেন, দুপুরে কোন নেতা লাঞ্চ করেছেন, আর বিকেলে তিনি বলছেন, আর তিনি দল করবেন না। দল ছেড়ে দিচ্ছেন। তিনি জানালেন দীনেশ ত্রিবেদী গতকাল তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছেন। আর একজন তৃণমূল ছাড়বেন এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এরপর দুর্নীতি বিষয়ে শাসকদল তৃণমূলকে একেবারে চেপে ধরলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ জানান যে, সম্প্রতি গ্রামবাংলা দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। চারদিকে শুধু নেই নেই রব শোনা যাচ্ছে। হাসপাতালে চিকিত্সক নেই, পুলিশ স্টেশনে নেই দারোগা। সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর কেন্দ্রের অর্থে মুখ্যমন্ত্রী(দিদিমণি) নীল সাদা বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন হাসপাতালে। কিন্তু রাজ্যের মানুষ পাচ্ছেন না চিকিৎসা।

দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, রেশনের চাল চুরি করে অনেক তৃণমূল নেতার গাছ ফুলে গেছে। তিনি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী একবার বলেছিলেন যে, ২০১৯ এ বিজেপি ফিনিশ হবে। তিনি তখন বলেছিলেন যে, দেখবেন ২০১৯ বিজেপি কি জিনিস! আজ সেটাই সত্যি হয়েছে। দুর্নীতি দেখে তৃণমূল ছেড়ে দিচ্ছেন শিল্পী-সাহিত্যিক সকলেই। অপমানিত বোধ করছেন তাঁরা। এভাবেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসকদল তৃণমূলকে একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দুর্নীতি সহ একাধিক রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে একেবারে ধুয়ে দিলেন তিনি।