এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একুশে তৃণমূলের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে পিকে ও ঘাসফুলের শীর্ষ নেতৃত্ব আস্থা রাখছেন কাদের উপর?

একুশে তৃণমূলের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে পিকে ও ঘাসফুলের শীর্ষ নেতৃত্ব আস্থা রাখছেন কাদের উপর?

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনটি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে একটা অগ্নিপরীক্ষার সমতুল্য হতে চলেছে। এই বিধানসভা নির্বাচন গত ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের মতো ততটা সরল হবার নয়। কারণ ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে বিজেপির উত্থান ঘটেছে। লোকসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব উত্থান ঘটিয়ে শাসকদলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি। রাজনৈতিক উপদেষ্টা পিকেও এই ব্যপারটি বিলক্ষণ জানেন। আর জানেন বলেই একের পর এক নতুন পরিকল্পনা করে গ্রহণ করে তিনি শাসকদল তৃণমূলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবার জন্য বদ্ধপরিকর।

আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর বাংলার যুবসমাজকে আরো বেশি করে শাসকদল অভিমুখী করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। আর সেইসাথে দল থেকে অস্বচ্ছতা মুছে দেবারও ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে স্বচ্ছতা বিষয়টি যে একটি বিশেষ ফ্যাক্টর হতে চলেছে, সে কথা কিন্তু পিকে বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর সে কারণেই দলের মধ্যেই জনপ্রিয়তা বা যতই প্রভাব থাকুক না কেন দুর্নীতির কালি যাদের গায়ে ইতিমধ্যেই লেগেছে, তাদের আর দলের সামনের সারিতে স্থান দিতে চান না তিনি। তার পরিবর্তে ৫০ অনুর্ধ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অধিকারী তরুণ তৃণমূল সদস্যদের প্রতি তিনি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলের তরুণ সদস্যদের আরো আরো বেশি করে সামনের সারিতে তুলে আনতে মুখ্যমন্ত্রী গত জুলাই মাসে দলের সংগঠনে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন। মূল কমিটি থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি পর্যন্ত সমস্ত কিছুতেই তরুণদের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। এজন্য তিনি ২১ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করেছেন। সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ৭ সদস্যের একটি প্যানেল তৈরি করেছেন। যেখানে তিনি স্থান দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শান্তা ছেত্রি প্রমুখ তৃণমূল নেতৃত্বকে।

রাজ্যের নতুন দলীয় কমিটি গঠন ও সাত সদস্যের প্যানেল তৈরির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জেলা যেমন হাওড়া, কোচবিহার, পুরুলিয়া, নদীয়া, ঝারগ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর ইত্যাদিতে পুরোনো জেলা সভাপতিদের অপসারিত করে নতুন সভাপতি আনা হয়েছে। যেমন হাওড়াতে তৃণমূল সভাপতি করা হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে, নদিয়ায় করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে, ঝাড়গ্রামে করা হয়েছে দুলাল মুর্মুকে, পুরুলিয়ায় করা হয়েছে গুরুপদ টুডুকে, বাঁকুড়াতে করা হয়েছে শ্যামল সাঁতরাকে।

প্রসঙ্গত পিকের প্রদত্ত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তৃণমূল দলের সংগঠনে তরুণদের এভাবে গুরুত্ব বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দলের একেবারে নিম্নস্তরের জেলা ও ব্লক চলছে রদবদল। রাজ্য নেতৃত্বর নির্দেশ অনুযায়ী ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে কোন সদস্যকে জেলা কমিটিতে রাখা হচ্ছে না।

জেলা কমিটির নবীনায়নের পাশাপাশি জেলা কমিটির আকারও সংকুচিত করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর ফলে জেলা কমিটির কাজে আরো বেশি দক্ষতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এভাবে আগামী নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সাধন করা হচ্ছে। সর্বোপরি বাংলার যুবসমাজকে কাছে টেনে ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টায় শাসক দল তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!