এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > একুশের মহাযুদ্ধে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে হচ্ছেন? জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন অর্জুন সিংহ

একুশের মহাযুদ্ধে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে হচ্ছেন? জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন অর্জুন সিংহ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির একজন দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত হলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সংসদ অর্জুন সিং। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি ঘাসফুল শিবির ত্যাগ করে যোগ দিয়েছেন পদ্মফূলে। কিন্তু কিছুদিন আগে নিজের দলের প্রতি বেশ কিছুটা বিরূপ হতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির এই দাপুটে নেতাকে।

বেশ কিছুদিন আগে বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একযোগ হয়ে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিশেষ নির্বাচনী বৈঠকে তিনি দলের বিরুদ্ধে রীতিমতো সরব হয়েছিলেন। যেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যবিজেপির মূল চালিকা শক্তি মুষ্টিমেয় দু-এক জন, বাদবাকিরা শুধুই দলের শোভাবর্ধনকারী। অর্জুন সিংয়ের এই মন্তব্যে বিজেপি দলের অন্দরে শুরু হয়েছিল প্রবল বিতর্ক।

সংবাদসূত্র অনুযায়ী সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রাখলেন সাংসদ অর্জুন সিং। এই বার্তার দ্বারা তিনি একদিকে যেমন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যও বিজেপির দুর্বল দিকগুলিকে চিহ্নিত করে দিলেন, অন্যদিকে তেমনি ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদলের বিরুদ্ধে।

এই বিশেষ বার্তায় তিনি জানিয়েছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য রাজ্য বিজেপিতে একটি মুখ্যমন্ত্রী মুখ দরকার। তাহলে ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন জয়লাভ অনেকটা সহজসাদ্ধ হবে । সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি একটি জাতীয় দল। অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী এই দলের প্রধান মুখ।

কিন্তু রাজ্যেও রাজনৈতিক লড়ায়ের জন্য আর একজন মুখ হয়ে ওঠা আবশ্যক। এ প্রসঙ্গেই তিনি জানান, “আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করি যে, একজন মুখ্যমন্ত্রী মুখ রাজ্যে দলের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। তাই দল যদি রাজ্যে একজনকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে এগোয় আরও ভালো ফল আশা করাই যায়। যদি এটা সম্পূর্ণঁ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যাপার। সেটা দলই ঠিক করবে। আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত মত শেয়ার করলাম।”

কিছুদিন আগে ওঠা দিল্লি বৈঠকে নিজের তোলা অভিযোগ প্রঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, সেদিন বৈঠকে কোন বিভেদ , বিতর্ক বা মতভেদ হয়নি, সবকিছুই মিথ্যে ভাবে রটানো হয়েছিল। মিডিয়ায় এই মিথ্যে রটনার জন্য তিনি অভিযুক্ত করেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দিল্লিতে আগামী নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনার জন্য রাজ্য বিজেপির কিছু জেলা স্তরের নেতা, কিছু সাংসদ ও দলের পর্যবেক্ষকদের মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল মাত্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই বৈঠকে শুধুমাত্র আলোচনা করা হয়েছিল, কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় নি। আর ওই বৈঠকে বিজেপির উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে কোন মতান্তরও দেখা যায় নি। এই বৈঠক নিয়ে ওঠা মিথ্যে সংবাদ প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেছেন, “কিছু মিডিয়াকে ব্যবহার করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছিল তৃণমূল। এটি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নোংরা রাজনীতির উদাহরণ। এর পেছনে থাকা মিডিয়া সংস্থাকে আমরা ইতিমধ্যে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি।”

অন্যদিকে ওই বৈঠক সমাপ্ত হবার পূর্বেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের কলকাতা প্রত্যাবর্তন নিয়ে শোরগোল পরে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। মুকুল রায়ের এই আচমকা কলকাতা ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “মুকুল রায়ের রেটিনায় একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া দরকার ছিল এবং তিনি কলকাতার দিশা হাসপাতালে এর জন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি চোখের চিকিৎসার জন্যই কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন। এর মধ্যে অন্য কোনও কারণ ছিল না।”

সম্প্রতি রাজ্য বিজেপিতে মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষের মধ্যে মতভেদ তথা অন্তর্দ্বন্দ্বের বিষয়ে বেশকিছু কানাঘুসো শোনা যাচ্ছিল মিডিয়াতে কান পাতলে। অর্জুন সিং এই বিষয়টিও সম্পূর্ণ ভাবে অসত্য বলে দাবি করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধের যে গল্প ফাঁদা হয়েছিল, তা সর্বেব মিথ্যা। তাঁদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। বিজেপি কোনও আঞ্চলিক দল নয় যে, কোনও নেতা তদ্বির করে পছন্দের পদ পেয়ে যাবেন। এটি একটি জাতীয় পার্টি। এখানে তদ্বির কাজ করে না। দলীয় কর্মী ও নেতাদের মধ্যে প্রচুর আলোচনার পরে বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!