এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পদক্ষেপ – জানুন বিস্তারিত

লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পদক্ষেপ – জানুন বিস্তারিত


১৯’এর লোকসভা নির্বাচনের আর হাতে গোনা কয়েকমাস বাকি। প্রস্তুতি পর্ব তো শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। তবে এই মুহূর্তে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে ব্যস্ততার শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মযজ্ঞেকে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন করতে আরো কড়া হল নির্বাচন কমিশন। ভোট নিয়ে কারচুপি এড়াতে রাজ্যে এবার আধুনিক প্রযুক্তির এম-থ্রি ইভিএমে ভোট হবে। এবং সেইসব মেশিনে থাকবে ভিভিপ্যাট।

এর পাশাপাশি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ভোটসংক্রান্ত নানান ক্ষেত্রেই নয়া নির্দেশিকা জারি করল এদিন নির্বাচন কমিশন। এই সমস্ত নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারে জানতে রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন আজ।

সকাল ১০ টা থেকেই বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের কনফারেন্স হলে দিনভর প্রশিক্ষণ দেবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব, অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মন প্রমুখরা। তবে কী ধরনের গাইডলাইনের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে,তার নির্দেশিকাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে গতকাল দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকও করেন সিইও। ওই দপ্তরে বেশ কয়েকজন নতুন অফিসারও যোগ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে।

এই মুহূর্তে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে পুরোদমে। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার লিস্টে নাম তোলা,নাম বাদ দেওয়া,সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে। ২ মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল এবার ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য। এর পরবর্তী পর্যায়ে নভেম্বর মাস জুড়ে হবে সেই আবেদনের শুনানি৷ ৪ জানুয়ারি নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে যার উপর ভিত্তি করে হবে লোকসভা ভোট। সেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ কতদূর এগোলো সে সম্পর্কে বিস্তারিত তলব নেওয়ার কাজটিও চলছে এদিনের বৈঠকে।

কয়েকমাস আগে নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশিকা জারি হয়েছিলো ভোটপ্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখতে ‘শাস্তিপ্রাপ্ত’ প্রশাসনিক আধিকারিকদের লোকসভা ভোটের কাজে নিযুক্ত করা যাবে না। কিন্তু তারপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়,লোকসভা ভোটে দাঁড়াতে ইচ্ছুক কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে যদি অপরাধমূলক অভিযোগ থাকে,তবে তাকে হলফনামাতে জানানোর পাশাপাশি সংবাদপত্রে ১২ পয়েন্টের বড় বড় হরফে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।

শুধু প্রার্থী নন,যে দলের হয়ে তিনি ভোটে লড়বেন সে দলকেও বিজ্ঞাপন দিতে হবে দফায় দফায়। সুপ্রিম কোর্টেই এই নির্দেশিকার কথা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সব রাজনৈতিক দলকেই জানিয়ে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভোটে দাঁড়ানো প্রার্থীদের পরিচয় স্পষ্ট হয়ে যাবে সাধারণ মানুষের কাছে। ফলত ভোট দিতে সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

১৯’ ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে এরকম বহু নতুন নিয়ম আনা হয়েছে। আর সেকারণেই পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দরকার রিটার্নিং অফিসারদের। ভোট প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার লক্ষ্যেই প্রশিক্ষণ চলছে রিটার্নিং অফিসারদের কনফারেন্সে হলে। প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা রয়েছে নির্বাচন কমিশনে এই মুহূর্তে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!