এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের অভিযোগ- বাতিলই হয়ে গেল নির্বাচন!

ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের অভিযোগ- বাতিলই হয়ে গেল নির্বাচন!

মাঝে এক বছর নির্বাচন হয়নি। কথা ছিল 31 অক্টোবর তারকেশ্বর মন্দিরের পুরোহিত মন্ডলীর কার্যকরী সমিতির সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু প্রথম থেকেই এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অশনিসংকেত দেখতে পাওয়ায় অনেকের মনেই সেই নির্বাচন হওয়া নিয়ে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়।

দেখা যায়, নির্বাচনে যে সমস্ত প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করছেন, তাদের অনেকেই বিভিন্ন রকম কারণ দেখিয়ে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে শুরু করেছেন। আর এবার সেই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সমস্যা থাকায় এবং তা বাতিল হয়ে যাওয়ায় নানা গুঞ্জন রটতে শুরু করেছে। আর এই নির্বাচন বাতিল হয়ে যাওয়া নিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা থাকার কথা মন্দির কর্তৃপক্ষ শোনালেও তা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।

এক্ষেত্রে বিরোধীদের তরফ থেকে অন্য যুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি, তারকেশ্বর মন্দিরের পুরোহিত কমিটির ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিমাণে সিন্ডিকেট চালু হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকা জমা রাখলেও তা পুরোহিতদের শারীরিক অসুস্থতা এবং ব্যক্তিগত ঋণ হিসেবে দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না। নির্বাচনে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভয় দেখিয়ে প্রার্থী তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি বিরোধী দলগুলোর।

এদিন এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আরামবাগ জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল সরকারের আমলে অন্যান্য সমস্ত জায়গার পাশাপাশি মন্দিরের পুরোহিত কমিটির ক্ষেত্রেও সিন্ডিকেট চালু হয়েছে। 98 জন পুরোহিতের প্রত্যেককে এক দিনের টাকা এই সিন্ডিকেটে জমা রাখতে হয়।

যার পরিমাণ বছরে কয়েক লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই টাকা ব্যাংকে রাখা হয় না। মন্দিরের পুরোহিতের উন্নয়নকল্পে জমা হওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা নিজেদের আয়ত্তে রাখার উদ্দেশ্যেই নির্বাচন বাতিল এবং নির্বাচনে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভয় দেখিয়ে প্রার্থী তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিরোধীদের তরফ নির্বাচন বাতিল হওয়া নিয়ে এই কারণ দেখানো হলেও তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন পুরোহিত মন্ডলীর কার্যকরী কমিটির সভাপতি খগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ব্যাংকের লেনদেনের বিষয়ে সমস্যা থাকায় ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করা যায়নি। আগামী বোর্ড গঠন করে অ্যাকাউন্ট সচল করা হবে। আর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা থাকায় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার সমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে পরবর্তী নির্বাচনের দিন ঠিক করা হবে।”

তবে খগেনবাবু যাই বলুন না কেন, বিজেপির পাশাপাশি এই নির্বাচন বন্ধ হওয়ার ব্যাপারে সরব হতে দেখা গেছে বাম শিবিরকেও।এদিকে এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলার সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য স্নেহাশীষ রায় বলেন, “তৃণমূল সিন্ডিকেটের দিক থেকে পবিত্র স্থানকেও অব্যাহতি দেয়নি। অবিলম্বে তা বন্ধ করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন হোক এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমিতি পরিচালনা করা হোক।”

এদিকে স্নেহাশীষবাবুর এহেন মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত তারকেশ্বর পৌরসভার পৌরপ্রধান স্বপন সামন্ত। এদিন তিনি বলেন, “নির্বাচনে পদ্ধতিগত সমস্যা থাকাতেই তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই। বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে মিথ্যে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। সমিতি সুষ্ঠুভাবে খুব সুন্দর কাজ করছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তারকেশ্বর মন্দিরের পুরোহিত মন্ডলীর কার্যকরী সমিতির নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হলে যেভাবে সিন্ডিকেটের অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে বিরোধীরা, তাতে যদি সেই অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা সামনে আসে তাহলে নির্বাচনের আগে যে সেখানে কালঘাম ছুটতে পারে শাসকদলের সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে নিজেদের গা বাঁচাতে এবং সিন্ডিকেট চালাতেই কি সেই নির্বাচন পরিকল্পনামাফিক পিছিয়ে দিল তৃণমূল! এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!