শাসকদলের দিকে আঙুল উঠলেও, বিজেপি নেতা খুনে মূল অভিযুক্তকে নিয়ে সব দায় ঝেড়ে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস বর্ধমান রাজ্য December 12, 2018 বিজেপি নেতা খুনে তিনি অভিযুক্ত। কিন্তু বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাতার তলায় আসা অভিযুক্ত সইফুলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না কেউই – বলে অভিমত স্থানীয় অধিবাসীদের। আর তাইতো এলাকার বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষের মৃত্যুতেও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন অনেকে। বিশেস সূত্রে জানা যায়, বিজেপি কর্মী মৃত সন্দীপ ঘোষের বাবা বিজয় ঘোষের হাত ধরেই একসময় এই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এমনকি মৃত বিজেপি কর্মীর মামাও বিগত বাম আমলে তৃণমূলের হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণে তাঁকে বিদ্যুতের শক দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। আর তাই এবার সেই একই পরিবারে, বিজেপির হয়ে কাজ করার জন্য সেই নিরীহ সন্দীপ ঘোষের মৃত্যুতে এলাকাবাসীর মধ্যে তৈরি হয়েছে চাপা ক্ষোভ। আর এই খুনে, অভিযোগের আঙুল উঠেছে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত সইফুলের বিরুদ্ধে। কিন্তু কে এই সইফুল? সোমবার এলাকায় গিয়ে তৃনমূল নেতা সইফুলের নাম উচ্চারণ করতেই সবাই কার্যত মুখে আঙুল দিয়ে রয়েছেন বলে দাবি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের। অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিকরা জানতে পেরেছেন, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে এলাকায় তৃণমূলের ছাতার তলায় থাকা তৃনমূল নেতা সইফুলের প্রভাব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিদবিহার, মলানদিঘি, বনকাটি পঞ্চায়েত এলাকায় তিনিই হলেন এখন সর্বেসর্বা। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে নিজের নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না এই শর্তে এক সংবাদমাধ্যমকে স্থানীয় অধিবাসীরা জানিয়েছেন, অজয় নদীর বহু অবৈধ বালির ঘাট থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালি পাচার করা হত। আর এই অবৈধ বালি পাচার রুখতে বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষ পদক্ষেপ নিলে তাঁকে পরিকল্পনা মাফিক সরিয়ে দেওয়া হল। আর এখানে কয়লা থেকে অবৈধ বালিকাবারের পেছনে রয়েছে তৃনমূল নেতা সইফুলের নামই। ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে আরও জানা যাচ্ছে, দুর্গাপুরের এক তৃণমূল নেতা সইফুলকে দলে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁর দাপটে এখন পুরনো তৃণমূল কর্মীদের মুখে ‘রা’ কাটারও উপায় নেই। এদিকে এদিনই দলীয় কর্মী সন্দীপ ঘোষ খুনে প্রকৃত দোষীকে গ্রেপ্তারের জন্য এদিন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। যদিও বা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকৃত দোষীকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সইফুল এলাকায় কয়লা ও বালির অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থেকে ও আমাদের যুব নেতাকে খুন করেছে। ওকে গ্রেফতার না করলে আমরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাব”। অন্যদিকে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলে সভাপতি ভি শিবদাসন দাসু বলেন, “সইফুল আমাদের দলে কোনো পদে নেই। বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়”। সব মিলিয়ে এবার বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে দায় ঝেড়ে ফেলা হলেও শাসকের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ জমছে গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মনে বলে স্থানীয়মহলের দাবি। আপনার মতামত জানান -