এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পাঞ্জাবি পরে ফেসবুকে ছবি দিয়ে নেতা সাজা যায়! মানুষের সমর্থন নয় – নিদান প্রাক্তন মন্ত্রীর

পাঞ্জাবি পরে ফেসবুকে ছবি দিয়ে নেতা সাজা যায়! মানুষের সমর্থন নয় – নিদান প্রাক্তন মন্ত্রীর

2011 সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই সেই তৃণমূল দলে আদি বনাম নব্যের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হতে শুরু করে। যেখানে অনেকে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলে যারা প্রবেশ করেছে, তারা হাতে সোনার ঘড়ি, গলায় মালা এবং ঝাঁ-চকচকে পাঞ্জাবি পড়ে নেতা বনে গেছেন বলে কৌতুক করেন।

অন্যদিকে যারা আদি তৃনমূলী, তারা যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন অনেকে। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হওয়ার পর এবার নতুন পাঞ্জাবি পরে সেজেগুজে ফেসবুকে নয়, মাঠে নেমে কাজ করুন। ফেসবুকে ছবি দিলে হয়ত নেতা সাজা যায়, কিন্তু সাধারণ মানুষের সমর্থন পাওয়া যায় না বলে কড়া ভাষায় বার্তা দিতে দেখা গেলতৃণমূলের কিসান ক্ষেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক বেচারাম মান্নাকে।

সূত্রের খবর, রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কিষাণ খেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সম্মেলনে এসে দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বেচারাম মান্না বলেন, “মানুষের সমর্থন পেতে মাঠে নেমে কাজ করুন।” পাশাপাশি তৃণমূলের এই খারাপ ফলাফল হওয়ার পেছনে দলের অনেকেই যে তৃণমূলে থেকেও তৃণমূলকে ভোট দেয়নি, তাও অনুধাবন করে এদিন দলের একাংশকে “গদ্দার” বলে অভিহিত করেন বেচারাম মান্না।

তিনি বলেন, “আমাদের দলে অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। যাঁরা পাড়ায় নিজেদের সমালোচনা করেন। তাঁরা গদ্দার। দলের সেই সব নেতা-কর্মীরা বিজেপি ও সিপিএমের থেকেও ক্ষতিকর।”দিন বর্ধমানে তৃণমূলের এই কিসান ক্ষেতমজুর কমিটির সম্মেলনে বেচারাম মান্না ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত, নারায়ণ হাজরা, বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল, নার্গিস বেগম সহ অন্যান্যরা। আর সেই সভা থেকেই রীতিমতো রাখঢাক না করেই বেচারাম মান্নার এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ এদিন তিনি আরও বলেন, “যাঁরা দলে থেকে কাজ করছেন না, অথচ পদ দখল করে রয়েছেন, তাঁরা বসে যান। আপনাদের দরকার নেই। নতুনদের সুযোগ দিন। তাঁরা নতুন উদ্যমে কাজ করবেন। তিনি বলেন, হকাররা যেভাবে নানা কথা বলে নিজেদের মালপত্র বিক্রি করেন, এখন আমাদের সবাইকে সেভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন প্রচার করতে হবে। সিপিএম এক শতাংশ কাজ করে ৯৯ শতাংশ প্রচার করত। অথচ, মুখ্যমন্ত্রী ১০০ শতাংশ করলেও আমাদের অনেকেই এক শতাংশও প্রচার করছেন না। প্রচার করতে হবে। প্রচার করার জন্য শিখতেও হবে। তথ্য ও পরিসংখ্যান জোগাড় করে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করুন।”

অন্যদিকে দলে কেউ খারাপ কাজ করলে তার সমস্ত খবরই যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে থাকে এদিনের মঞ্চ থেকে তাও সকলকে অবহিত করে দেন বেচারামবাবু। একটি উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “আমাদের দলেরই একজন বিধায়ক দিদিকে বলো কর্মসূচিতে রাত্রিবাস করতে গিয়েছিলেন এক কর্মীর বাড়িতে।

কিন্তু, সেখানে না থেকে কিছুক্ষণ পরই পালিয়ে যান। কিছুটা দূরে যেতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ফোন চলে আসে। ধরা পড়ে যান। ২৩ আগস্ট থেকে আমাদের সংগঠনের নেতারা একেবারে খেতে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে দিদিকে বলো কর্মসূচি করছেন। আমাদের সংগঠনের কর্মসূচি আরও বাড়াতে হবে। ঘষে মেজে সংগঠনকে চকচক করে তুলুন। এখন আর বাড়িতে বসে থাকার সময় নয়।”

আর এখানেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাহলে দলীয় স্তরে তৃণমূলে থেকে অনেক নেতাই যে দলের কাজ ঠিকমত করছেন না, তা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও সেই খবর পৌঁছে গিয়েছে। আর তাইতো বর্ধমান জেলায় এসে নিজের সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক করে দিলেন কিসান ক্ষেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!