প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নিজের প্রেস্টিজিয়াস ফাইট বলে মনে করছে। এ কারণে দলের সংগঠনে একাধিক রদবদল ঘটানো হয়েছে। রাজ্যের জেলায় জেলায় পুরনো ব্লক ও জেলা কমিটির রদবদল ঘটিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। যার ফলে দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীর মধ্যে কিছুটা বিভ্রান্তি, ক্ষোভ কখনো বা অন্তর্দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার পুরাতন মালদহের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা জওহর ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে ঘোষণা করেছেন যে, দল বিরোধী কাজের জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতা ঝাপ্পু রাজবংশীকে তৃণমূল দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই পোস্ট সম্পর্কে তৃণমূল নেতা জওহর ঘোষ জানালেন, ” দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ঝাপ্পু রাজবংশীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন থেকে তিনি আর দলের কেউ নন।”

তৃণমূলের নেতার এই বহিষ্কার সম্পর্কিত সোশ্যাল মিডিয়ার এই পোস্ট ভাইরাল হয়ে পড়ে মুহুর্তের মধ্যে। মহিষবাথান গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ঝাপ্পু রাজবংশী এ প্রসঙ্গে জানান যে, তৃণমূলের ব্লক কমিটি বহু পূর্বেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। কমিটি ভেঙে দেয়ার পর তৃণমূল নেতা জওহর ঘোষ এর এই ধরনের বক্তব্যের প্রতি জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের কোন সমর্থন নেই বলেই তাঁর অভিমত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওকে
কোন গুরুত্বই তিনি দেননি।

অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ার এই ভিডিও প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বা বাবলা জানালেন, ” সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কি বলল, তাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। এখন জেলায় কোনও ব্লক কমিটি নেই। ফলে ব্লক স্তরে কেউ কাউকে বহিষ্কার করতে পারেন না।” তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে একান্তই নারাজ। তবে, বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকে এরমধ্যে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।