প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলা দরজায় যখন কড়া নাড়ছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সেইসময় একের পর এক চমকের শুরু। ইতিমধ্যেই বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে শুরু করেছে। গতকাল প্রকাশ হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তৃতীয় এবং চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা। কিন্তু এই তালিকা বেরোনোর পরে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসছে। আজকেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রার্থী টিকিট বিক্রির অভিযোগ করেছেন বিজেপি শিবিরের নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। ঠিক সেরকমই এবার গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে টলি তারকাদের কিনে নেওয়ার অভিযোগ করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

সম্প্রতি টলিপাড়ার অধিকাংশই হয় বিজেপি না হলে তৃণমূল, না হলে অন্য কোন দলে পা দিচ্ছেন। ঠিক সেইসময় বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী বাম অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। তিনি জানালেন, বিজেপির তরফ থেকে টলি তারকাদের টাকা দিয়ে কেনা হচ্ছে। এমনকি শ্রীলেখা মিত্র দাবি করেছেন, সাত কোটি টাকা দিয়ে বেশকিছু টলি তারকা কিনেছে বিজেপি তাঁদের দলে যোগদান করার জন্য। আর এই মন্তব্যের পরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। প্রসঙ্গত শ্রীলেখা মিত্র রাজনীতিতে পাকাপাকিভাবে না আসলেও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভীষণ রকম অ্যাক্টিভ।

আর সেই সোশ্যাল মিডিয়াতে এবার বিস্ফোরণ করলেন তিনি। অন্যদিকে শ্রীলেখার অভিযোগ সামনে আসায় বিজেপির মহিলা নেত্রী তথা অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র ওই একই পোস্টে শ্রীলেখা মিত্রর কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, কাকে দেওয়া হয়েছে এই টাকা? পাশাপাশি রীতিমত হুমকির সুরে তিনি জানান, যদি শ্রীলেখা মিত্র তাঁর নিজের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে না পারেন, তাহলে দলের তরফ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শ্রীলেখা মিত্র নিজের বক্তব্যে রীতিমতো অটল। তিনি ফেসবুক পোস্টে রিমঝিমকে পাল্টা জানিয়েছেন, তিনি প্রমাণসহ রিমঝিমকে নাম জানাবেন।

পাশাপাশি রিমঝিমের হুমকিতে তীব্র কটাক্ষ করেছেন শ্রীলেখা মিত্র। খুব স্বাভাবিকভাবেই ভোটের বাজারে শ্রীলেখা মিত্রর এই অভিযোগ বড়োসড়ো বিতর্ক সৃষ্টি করেছে যে রাজ্য রাজনীতিতে, এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে শ্রীলেখার এই পোষ্ট নিয়ে রিমঝিম মিত্রর সঙ্গে তাঁর যেভাবে বাক্যালাপ হয়েছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে আগামী দিনে এই বিতর্কের জল অনেকদূর গড়াবে। আপাতত, শ্রীলেখা মিত্রর এই অভিযোগ কতখানি সত্য এবং শ্রীলেখা এই অভিযোগের ভিত্তিতে কি প্রমাণ সামনে আনেন, সেদিকেই এখন নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।