এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সামনে এল বড়সড় সমীক্ষার ফল – বাংলায় মোদীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে! ঘুম উড়ছে তৃণমূলের?

সামনে এল বড়সড় সমীক্ষার ফল – বাংলায় মোদীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে! ঘুম উড়ছে তৃণমূলের?


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার দিল্লীর সিংহাসনে বসার পর তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিন্দুমাত্র প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মোটেও সুখকর নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মোদির গ্রহণযোগ্যতা দেশে কতটা আছে তাই নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল আইএনএসসি ভোটার নামক একটি সংস্থা। গত বছর থেকে দেশে সিএএ বিতর্ক নিয়ে রীতিমতো জল ঘোলা হয়েছে। তারপর নতুন করে সারা দেশজুড়ে এ বছরের শুরু থেকেই এখনো পর্যন্ত করোনার বিভীষিকা বর্তমান,তার মধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিক বিতর্ক সবনিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল বলেই মনে হচ্ছে।

এই অবস্থায় অনেকেই মনে করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির গ্রহণযোগ্যতা হয়তো কমে যাবে এবার দেশে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সমীক্ষার ফল সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছে। প্রথমেই আসা যাক পশ্চিমবঙ্গের কথায়। এ রাজ্যে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি রাজনৈতিক মঞ্চের সামনের সারিতে চলে আসে। কিন্তু তারপরে আবার এনআরসি এবং সিএএ আন্দোলন নিয়ে মোটামুটি পরিস্থিতি নিজেদের দিকে আনতে সমর্থ হয় শাসক দল তৃণমূল।

ফলস্বরূপ বিধানসভা উপনির্বাচনেও তাঁদের ভালো ফল হয়েছে পরপর। এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে পালে হাওয়া টানার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে ক্রমাগত ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এবং সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় এর কারণে রাজ্যের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। উল্লেখ্য, এই দুর্বিষহ পরিস্থিতিতেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর এক কথায় রাজনীতি ভুলে প্রধানমন্ত্রী মোদী এরাজ্যে চলে আসেন এবং এক হাজার কোটির অনুদান দিয়ে যান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই অবস্থায় দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের 64.06% মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর যথেষ্ট সন্তুষ্ট। আর সমীক্ষার এরূপ ফলাফল শাসকদলের প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে ভাঁজ ফেলবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। দেশের অন্যান্য রাজ্যের দিকে চোখ ঘোরালেও এই ছবির বিশেষ কিছু হেরফের হয়নি বলে মত সমীক্ষকদের। যেমন, হিমাচল প্রদেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সব থেকে বেশি গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় 95% মানুষ মোদির পক্ষে। এরপর যদি ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়ের দিকে দেখা যায়, তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সবথেকে বেশি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এই দুই রাজ্যে।

যদিও 2018 সালে ছত্তিশগড়ে 15 বছর পর বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফেরে। অন্যদিকে, কংগ্রেস শাসিত রাজ্য রাজস্থানেও রীতিমতো মোদি সমর্থন তুঙ্গে। সেখানে প্রায় 68.84% মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদির হয়ে কথা বলছে। তবে দেখা যাচ্ছে, দেশের তামিলনাড়ু এবং কেরালায় তুলনামূলকভাবে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর গ্রহণযোগ্যতা বেশ কিছুটা কম। যথাক্রমে 32.89% ও 32.15% মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদির ওপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে কেন্দ্রীয় দলের সবথেকে বেশি মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিহার। প্রধানমন্ত্রী মোদির গ্রহণযোগ্যতা সবথেকে কম এই রাজ্যে।

তবে উল্লেখযোগ্যভাবে বিরোধীদের প্রচুর সমালোচনা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাজে সেখানকার 50 শতাংশের বেশি মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অতএব দেখা যাচ্ছে, দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। যেখানে বিরোধী দল বর্তমান পরিস্থিতিতে হয়তো ভেবেছিল, প্রধানমন্ত্রী মোদির গ্রহণযোগ্যতা বেশ কিছুটা কমে যাবে। কিন্তু আদতে দেখা যাচ্ছে ফল হচ্ছে সম্পূর্ণ উল্টো। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদি সরকারকে টেক্কা দিতে বিরোধী দলগুলিকে আরো বেশি শক্তিশালী হতে হবে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কারণ পরিস্থিতি যেরকম দাঁড়িয়েছে তাতে মোদি সরকারের জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!