এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একুশের মহাযুদ্ধে ভোট বাড়াতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এবার নতুন পদক্ষেপ বঙ্গ বিজেপির

একুশের মহাযুদ্ধে ভোট বাড়াতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এবার নতুন পদক্ষেপ বঙ্গ বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –হাতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি তারপরেই বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে তাই এখন থেকেই প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে শুরু করেছে। বলা বাহুল্য, নির্বাচনের আগে যে রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতিতে বেশি চমক থাকে, সেই রাজনৈতিক দলের ওপর বেশি ভরসা করেন সাধারণ মানুষ।

বার তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে রেখে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর তার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয়স্তরে নানা পরিকল্পনা করছে তারা। আর এই অবস্থায় 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করতে চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গেল বিজেপি নেতৃত্বকে। বস্তুত, এবারে উত্তরবঙ্গকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার অঙ্গ হিসেবে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে চলা বৈঠকে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলার সভাপতি এবং সাংসদদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। গত 23 জুলাই আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, সেই বৈঠকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা এবং সাংসদ জন বারলা বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যদি চা বলয়ে ভালো ফল করতে হয়, তাহলে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ কোনো আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করতে হবে। আর এরপরই জেলা নেতৃত্বকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে, যদি 2021 সালে দল ক্ষমতায় আসে, তাহলে চা শ্রমিকদের পাট্টা এবং ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখেই 2021 এর জন্য চা বলয়ে লড়াই করার ক্ষেত্রে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় বিজেপি। অর্থাৎ চা শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশার কথা মাথায় রেখে বিজেপি যে এবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবে, তা কার্যত স্পষ্ট বিশেষজ্ঞদের কাছে। এক্ষেত্রে তারা চা বলয়ে যদি এই প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে ভোট চাইতে যায়, তাহলে তারা অনেকটাই সহানুভূতি আদায় করতে পারবে এবং ভোটব্যাঙ্ক বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জন বারলা বলেন, “আর্থিক প্যাকেজের দাবির বিষয়টি ঠিক নয়। আমি নিজেই চা শ্রমিক পরিবারের ছেলে। আমি জানি বেঁচে থাকার জন্য শ্রমিকদের জমির পাট্টা এবং ন্যূনতম মজুরি কতটা দরকার। সেজন্যই আমি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই দাবি জানিয়েছি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “আমরা ভোটের আগে চা শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কোনো কিছু দাবি করিনি। দল ক্ষমতায় এলে চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি নিশ্চিত করা হবে, এই প্রতিশ্রুতির কথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখন থেকে শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে প্রচারের দিন, তারিখ ঠিক করা হবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন তা বলে শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে যদি বিজেপি এই প্রচার করতে শুরু করে তাহলে তাদের ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। এখন তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মোতাবেক এই প্রচার করতে কতটা সক্ষম হয় এবং পরবর্তীতে এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!