একদা গেরুয়া শিবিরের মহারথীকে জেতানো মাস্টারমাইন্ড এবার মমতাকে জেতানোর মহামন্ত্র আনছেন? কলকাতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –হাতে আর কয়েকটা মাস। তারপরই বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। আর এই বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর যে চরম চাপ দিতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তা রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। একসময় আসানসোলে বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়কে জেতানোর পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বর্তমান তৃণমূলের অন্যতম নেতা দীপ্তাংশু চৌধুরী। কিন্তু এবার সেই দীপ্তাংশু চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে তার কাজ করে চলেছেন। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই বিজেপিকে মোকাবিলা করতে তৃণমূলের হাতিয়ার হিসেবে আসতে চলেছে নয়া কর্মসূচি “একুশে ক্ষমতায় মমতা।” কিন্তু কি এই কর্মসূচি! কেমন করে সেই কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করা হবে?প্রসঙ্গত, পুজোর আগে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়্গ্রাম জেলা সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই সরকারি প্রকল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনো ঢিলেমি না হয়, তার জন্য সকলকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। আর এরপরে কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উদ্যোগে যে সমস্ত প্রকল্প চালু করা হয়েছে, তা তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হল। যেখানে এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে “একুশে ক্ষমতায় মমতা।” কিন্তু কেন হঠাৎ কমিউনিটি রেডিওকে এই প্রকল্পের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া হল? জানা গেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে কন্যাশ্রী, থেকে শুরু করে সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী সহ গতিধারার মত যে প্রকল্পগুলো দেওয়া হয়েছে, তার সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার করা হবে এই কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে। যেখানে মানুষের কাছে এই সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা তুলে ধরে বিজেপিকে কুপোকাত করাই প্রধান লক্ষ্য হবে দীপ্তাংশু চৌধুরীর মতো হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন সেনা আধিকারিক দীপ্তাংশু চৌধুরী বলেন, “মোদি সরকার মুখে যতই বড় বড় কথা বলুক না কেন, বাস্তব কিন্তু খুব কঠিন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বারবার দাবি করা হয় যে, দেশের সব গ্রামে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। কিন্তু তা সঠিক নয়। এখনও দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ থাকেন গ্রামীণ এলাকায়। দেশের মধ্যে প্রায় সাত লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে মাত্র আড়াই লক্ষ গ্রামীন ইন্টারনেট পৌঁছেছে। এইসব ইন্টারনেট না পৌঁছানো গ্রামে স্বাভাবিকভাবেই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নেই। আর সেই সূত্রে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মত সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে আমরা বিধানসভা নির্বাচনের একটা বড় অংশের প্রচার করা হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু এই রাজ্যে যে সমস্ত মানুষের হাতে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নেই বা গ্রামীন ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছতে পারেনি, সেখানে প্রচারের জন্য এই কমিউনিটি রেডিও বড় মাধ্যম হয়ে উঠতে চলেছে।” অর্থাৎ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় বাবুল সুপ্রিয়কে এই দীপ্তাংশু চৌধুরীর ভূমিকা অনস্বীকার্য ছিল। তবে এখন তিনি তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা। সোশ্যাল মিডিয়া সেলের বেশিরভাগ দায়িত্ব তিনিই সামলান। তাই সেই দীপ্তাংশু চৌধুরীর হাত ধরেই কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে কুপোকাত করতে চাইছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। সব মিলিয়ে তৃণমূলের দীপ্তাংশু চৌধুরী বিজেপিকে কুপোকাত করতে এই কমিউনিটি রেডিওর সাহায্যে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে বাড়িয়ে দিতে কতটা সক্ষম হন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -