প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বহু প্রতীক্ষার পর চলতি মাসে শুরু হতে চলেছে ১৩তম আইপিএল। অন্যবারের থেকে এবারের উন্মাদনা বোধহয় একটু বেশি তার কারণ হল, প্রথমত এবারে যে আইপিএল খেলা অনুষ্ঠিত হবে সেটাই অনেক ভাবেনি। কারণ করোনা পরিস্থিতি যা ভেলকি দেখিয়েছিল, তাতে খেলা অনুষ্ঠিত হবে কিনা সেই নিয়ে অনেক সমস্যা ছিল। এছাড়া আমির্শাহিতে পৌঁছানোর পর আইপিএল টিমগুলোকে যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তাতে খেলা নিয়ে অনেকই দোটানা তৈরি হয়। ফলতো ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে বরাবরের মতই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি এবারে খেলা হবে না?

কিন্তু সেই প্রশ্নকে ফিকে করে দিয়ে শেষমেশ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আইপিএল। গতকাল তার সূচিও নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলত ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য নিজের প্রিয় দলের হয়ে গলা ফাটাতে আর কোন বাধা রইলো না। কিন্তু দেখতে গেলে সত্যিই কি কোনো বাধা নেই? কারণ এরই মধ্যে হকের বক্তব্যে রাজ্যের ক্রিকেট দল কেকেআরকে নিয়ে ইতিমধ্যেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। একটু খোলসা করে বলতে গেলে গতবছরের খেলার কথায় যেতে হয়। গতবছর যখন একটার পর একটা ম্যাচ হারায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল কেকেআর, সেই সময় কার্তিকের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। তাঁর কথায় দলের ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই এমন একটা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল বলেই তিনি মনে করেছেন।

তবে সেই কথার পর পেরিয়ে গেছে এক বছরেরও বেশি কিন্তু মনে করা হচ্ছে সে মনোমালিন্য শেষপর্যন্ত কিন্তু এখনও থেকেই গেছে কেকেআর অন্দরমহলে, যা কিনা হকের কথাতেই প্রমাণ হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা আবহে এতদিন পর বাড়িতে বসে থেকে ক্রিকেটাররাও যখন বোর হয়ে গেছিলেন, সেই সময় আইপিএলের খবর যথারীতি আনন্দ দিয়েছে সকলকে। তাই প্রতিটা দলই নিজেদের মতো করে খেলায় ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেই জানা গেছিলো। সেখানে কার্তিকের নতুন উচ্ছ্বাসে মাঠে নামার খবরও পাওয়া যায় কিছুদিন আগে। তবে সম্প্রতি হক বক্তব্যে জানা গেছে সমস্ত দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও এই সম্পর্কের দিক থেকে হয়তো কোথাও না কোথাও দলের পিছিয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ খেলা মানেই হচ্ছে একটা টিম ওয়ার্ক। তাই সেই টিমের যদি কোন একজনের সঙ্গেও একজনের মনোমালিন্য সৃষ্টি হয় তবে তা সমগ্র দলের ওপর প্রভাব ফেলতে সচেষ্ট হবে। আর সেটাই আশঙ্কা করছেন তিনি।

যদিও কার্তিক রাসেলের সঙ্গে তাঁর এই মতানৈক্যে বিষয়ে আগেই জানিয়েছিলেন যে, অনেক আগেই তাদের মধ্যে সব ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে। বস্তুত সেবারে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্যই দলের উপর রেগে ছিলেন রাসেল। কারণ সেবারে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে নিজের সেরাটা দিয়েও দলকে তারা জোগাতে পারেননি। উপরন্তু খেলায় ৫ নম্বর জায়গা থেকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। ফলে স্বভাবতই দলের জন্য একটা বড়সড় ধাক্কা ছিল সেটা। আর তা থেকেই রাসেল এমন কাজ করেছিলেন বলেই মনে করেন তিনি। তবে তাঁর মতে তাদের মধ্যে কার্যত ক্ষমা চাওয়ার পর সবকিছু মিটে গিয়েছিল। সুতরাং সেই কথার প্রভাব আদৌ এবারের খেলায় পড়বে, নাকি হকের কথা সত্যি হবে সেই নিয়ে কিন্তু কেকেআর অনুরাগীদের মনে বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে।