হাতে নেই যথেষ্ট তথ্য, সরকারি কর্মীদের অনলাইনের কাজে বিঘ্ন রাজ্য July 30, 2018 এখন রাজ্যের সমস্ত কাজই হয় প্রায় অনলাইনে। যার জেরে সরকারী কর্মীদের এই অনলাইনেই ছুটির আবেদন করতে হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমানে কর্মী না থাকার কারনে মডিউল তৈরির সময়সীমা দিনের পর দিন পেছোতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, প্রথমে মে মাসের মধ্যে এইকাজ সম্পূর্ন হওয়ার কথা থাকলেও অর্থদপ্তর ঘোষনা অনুযায়ী তা বাড়িয়ে 10 আগষ্ট করা হয়েছে। এদিকে কর্মীদের এই সাব মডিউল তৈরির ব্যাপারে নানা সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রধান কারন হিসাবে রয়েছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র না পাওয়া এবং কর্মীদের কাজে অপারগতা। আর এই ব্যাপারে অর্থদপ্তরের তরফ থেকে সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে যে, সরকারী কর্মীদের সমস্ত তথ্য ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসারের কাছে না থাকার জন্য এই কাজে এত বিলম্ব হচ্ছে। তাই এই জন্য কর্মীদের সব তথ্য ঠিকঠাক দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিকে এই পদটি যে নির্দেশিকা নিয়ে মন্ত্রীসভার অনুমোদনের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল, এক্ষেত্রে সেই নির্দেশিকার কোনো খোঁজই মিলছে না। আর এর ফলে বছরের পর বছর ধরে এই পদটি ব্যাবহৃতই না হয় তবে কি কারনে তৈরি হয়েছে এই পদ! তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে তৃনমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের মেন্টর কমিটির সদস্য মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “কর্মী স্বার্থে এই কাজ দ্রুত সম্পন্ন হওয়া উচিত। ” অন্যদিকে এই সংগঠনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এইচআরএমএসের ফলে কর্মীদের খুবই সুবিধা হয়েছে। পিএফে কত ছুটি পড়ল, কত ছুটি আছে তা সহজেই জেনে নিতে পারছেন তাঁরা।” তবে ষষ্ট বেতন কমিশন সরকারের কাছে ঠিক কত কর্মী রয়েছে তা জানতে চাইলে সরকার এখনও তা জানাতে পারেনি। অনেকেলই আশঙ্কা, অনুমোদন না থাকা সত্তেও অনেক ভুতুরে কর্মী স্থায়ী পদে রয়েছেন। ফলে এই স্টাফ স্ট্রাকচার সংক্রান্ত সাব মডিউল তৈরি হলে তা বের করতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না বলে মত একাংশের। আপনার মতামত জানান -