এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কর্মচারীদের পিএফ সুরক্ষিত দু-দুটি বড়সড় পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের – জানুন বিস্তারিত

কর্মচারীদের পিএফ সুরক্ষিত দু-দুটি বড়সড় পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের – জানুন বিস্তারিত


রাজ্যজুড়ে একদিকে যেমন সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে প্রভিডেন্ট ফান্ড, এরিয়ার থেকে শুরু করে মহার্ঘ ভাতা প্রসঙ্গে জর্জরিত রাজ্যের অর্থ দপ্তর, ঠিক সেই সময়ই কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত আইনকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যেতে পারে রাজ্য সরকারকে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক আগামী লোকসভার অধিবেশনে পিএফ সদস্যদের জন্য একটি বিশেষ আইন আনতে চলেছে। যার জেরে যদি কোন সংস্থা অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়ে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত সংস্থাটি থেকে যে টাকা পাওয়া যাবে, তা কর্মীদের বকেয়া পিএফ বাবদ সবার আগে মেটানোর ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। যার অর্থ যদি কোনো সংস্থা ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনালের এক্তিয়ারভুক্ত হয়ে পড়ে, সেই ক্ষেত্রে উক্ত সংস্থা থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে, সেই অর্থে সবার আগে পিএফের সদস্য কর্মীদের অধিকার বর্তাবে।

উপরিউক্ত আইনের পাশাপাশি আরও একটি বিশেষ আইন আনতে আগ্রহী হয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। আর সেই আইন অনুযায়ী যদি কোনো বেসরকারি সংস্থা কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত কোনরূপ কারচুপি বা অর্থনৈতিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে সেই সংস্থার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দু’বছরের মধ্যেই মেটাতে হবে। যে আধিকারিক উক্ত তদন্তের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, যদি তিনি বছর দুয়েকের মধ্যে সেই তদন্ত সমাপ্ত করতে না পারেন, তাহলে নয়াদিল্লিকে লিখিতভাবে তার কারণ জানাতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই বিষয়ে আধিকারিকরা বলছেন, ইতিপূর্বে শ্রমদপ্তর সূত্রে তদন্ত সংক্রান্ত এরকম কোনো বিধি নিষেধ বা সময়ের প্রতিবন্ধকতা ছিল না। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলতে থাকলেও তা নিয়ে কোনো জবাবদিহি করতে হত না তদন্তরত আধিকারিকদেরকে। যার কুফল হিসেবে বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকত তদন্তের বিষয়গুলো। আর তার ফল হিসাবে ভুক্তভোগী হতে হত সাধারণ শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদেরকে অথবা কর্মচারীদেরকে। তারা সময়মত তাদের অধিকার পেত না। আর কেন্দ্রীয় সরকারের আনা নতুন এই আইনের কারণে সুরক্ষিত হতে চলেছে তাদের ভবিষ্যৎ। আর এই কারণেই কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের তরফ থেকে দুটি আইন আনার তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিভাগীয় আধিকারিকদের একাংশ।

স্বাভাবিকভাবেই আইন দুটি কার্যকর হলে কোনো সংস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়লেও আগের মত ব্যাঙ্করাপ্সি অ্যান্ড ইনসলভেন্সি কোডের প্যাঁচে পড়ে বিচারপর্বের নামে দীর্ঘদিন কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালে ঝুলে থাকতে হবে না সংস্থাগুলির কর্মীদেরকে। নতুন দুটি আইন বলবৎ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যদি দেউলিয়া হয়ে যাওয়া কোনো সংস্থার কাছ থেকে অর্থনৈতিক আদায় করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার, তাহলে শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাই অগ্রাধিকার পাবে।

কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির আধিকারিকদের মতে, ইতিপূর্বে ভেঙেপড়া কোনো সংস্থার অর্থনৈতিক বেহাল দশার প্রথম বলি চড়তে হত সংস্থাগুলির কর্মচারীদেরকে। ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে, তার জন্যই এবার সচেষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। শ্রমিক এবং কর্মচারীদের স্বার্থে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আনা এই আইনগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় আধিকারিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে মামলার নামে তাদেরকে ঝুলিয়ে না রেখে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে যদি নিলাম হয়ে যাওয়া সংস্থার কাছ থেকে শ্রমজীবী কর্মীদের অধিকার ছিনিয়ে আনতে পারে, তাহলে আগামী দিনে শ্রমমন্ত্রকের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!