এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রশাসনিক কর্তাদের জন্য এবার জারি নয়া ফরমান জল্পনা তুঙ্গে

প্রশাসনিক কর্তাদের জন্য এবার জারি নয়া ফরমান জল্পনা তুঙ্গে

 

2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মহাকরণকে জেলায় জেলায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি। একেবারে গ্রাসরুটে পৌঁছে গিয়ে সাধারণ মানুষের কি কি অসুবিধা রয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে সেই জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বসে বৈঠক করে সাধারণ মানুষের অসুবিধা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়নের ডালি নিয়ে পৌঁছে যাওয়ার পরও সেইভাবে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। উল্টে 42 এ 42 এর স্লোগান তুলে 22 টি আসনেই আটকে যেতে হয়েছে তাদের। যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি দখল করেছে 18 টি আসন। আর এই পরিস্থিতিতে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের জনমুখী কর্মসূচিকে আরও ঢেলে সাজাতে চাইছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নবান্নের সভাগৃহে রাজ্যের সমস্ত দপ্তরের কাজ নিয়ে একটি বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে একাধিক দপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। আর এরপরই তিনি উপলব্ধি করেন যে, একশ্রেনীর অফিসারের কাজকর্মের সমন্বয়ের অভাবের জন্যই সাধারণ মানুষ অনেক সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যার কারণেই নীচুতলায় শাসক দলের সমর্থন অনেকটাই কমেছে। আর এবার সকল দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবার জন্য সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, কেন এমনটা হচ্ছে, এদিন তা খতিয়ে দেখতে এই বৈঠক থেকেই মুখ্যসচিব রাজিব সিনহাকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক থেকে শুরু করে সমস্ত কর্তা ব্যক্তিদের দ্রুত কাজ করার কথা বলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তিনি বলেন, “লাল ফিতের ফাঁস খুলে প্রশাসনকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকার যেভাবে জনমুখি প্রকল্প নিয়ে চলতে চাইছে, তার প্রভাব যাচাই করতে হবে।”

শুধু তাই নয়, জেলায় জেলাশাসকদের সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়ে প্রয়োজনে ব্লক স্তরে বসে মানুষের সমস্যা সমাধান করতে হবে বলেও এদিনের বৈঠক থেকে জানিয়ে দেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। এদিন এই প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব বলেন, “এভাবে কাজ করলে সমন্বয় বাড়বে। প্রশাসনিক কাজের সরলীকরণ সম্ভব হবে। অফিসারদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে। পরিকল্পনা করতে অযথা সময় নষ্ট করা চলবে না। চটজলদি কাজ সেরে ফেলতে হবে। কোনো কাজ ফেলে রাখা যাবে না।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনেই 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে সদ্য সমাপ্ত লোকসভার পরাজয়কে ভুলতে এখন থেকেই দলীয় স্তরে জনসংযোগের মধ্য দিয়ে পথ চলতে চাইছে তৃণমূল। আর এবার সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি যাতে কোনো প্রশাসনিক আধিকারিকের জন্য আটকে না থাকে, তা নবান্নের বৈঠক থেকে কড়া বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিলেও তা কতটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!