এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জিএসটি নীতিতে আসতে পারে বড়োসড়ো পরিবর্তন, মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার বক্তব্যে বাড়ছে তীব্র জল্পনা

জিএসটি নীতিতে আসতে পারে বড়োসড়ো পরিবর্তন, মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার বক্তব্যে বাড়ছে তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জিএসটি নীতিতে পরিবর্তনের দাবি এসেছে একাধিকবার একাধিক মহল থেকে। বিশেষ করে পেট্রোল ও ডিজেলের মত জ্বালানিকে জিএসটির আওতাভুক্ত করার দাবি উঠেছে বারবার। এবার জিএসটি নিয়ে গতকাল বিশেষ বক্তব্য রেখেছেন কেন্দ্রীয় মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম। গতকাল বণিকসভা অ্যাসোচাম আয়োজিত ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগদান করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে জিএসটির বিষয়ে বেশ কিছু বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালে চালু হয়েছে জিএসটি। জিএসটিতে তিনটি করের হার থাকবে বলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। তবে এখনো তা হয়নি। জিএসটির এখন পাঁচটি কর রয়েছে। যার সর্বোচ্চ হার হলো ২৮ শতাংশ। আবার পেট্রোল, ডিজেলকে জিএসটির আওতাভুক্ত করার বিষয়ে এখনো তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কেন্দ্রকে। তবে, এ বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি একাধিক রাজ্যকেও।

গতকাল কেন্দ্রীয় মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন যে, করেন হারের সংখ্যা ৫ টি থেকে তিনটিতে নামিয়ে আনার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করের হার যে কমানো হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। যে বিষয়টিকে কেন্দ্র বাস্তবায়িত করার চেষ্টায় রয়েছে। তবে জ্বালানিকে জিএসটির আওতাভুক্ত করা হবে কিনা? সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি তাঁকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার গতকাল কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন যে, সাম্প্রতিক বিশ্বায়নের যুগে ব্যাঙ্কগুলিকে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হয়। তাই অতি বড় মাপের ব্যাংক গঠন করা প্রয়োজন। আর্থিক দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে আমাদের দেশ। তবে বিশ্বের প্রথম ১০০ টি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় স্টেট ব্যাংক শুধু আছে। যেখানে চীনের আঠারোটি, আমেরিকার বারোটি ব্যাংক রয়েছে এই তালিকাতে।

তবে, কেন্দ্রীয় আর্থিক উপদেষ্টার বক্তব্য প্রসঙ্গে কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশীল পোদ্দার জানালেন যে, প্রথমে ঢাকঢোল পিটিয়ে জানানো হয়েছিল যে, জিএসটি চালু হলে করের বোঝা কমে যাবে। জানানো হয়েছিল জিএসটি একটি সহজ-সরল কর ব্যবস্থা। কিন্তু চার বছর কেটে গেলেও, তার কোনটাই দেখা যায়নি। পরিবর্তে কর মেটানোর আইন-কানুন মানতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা চূড়ান্ত হয়রানীর মুখে পড়েছেন। রিটার্ন জমার খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও জানালেন, এখনো পর্যন্ত ১০০ বার সংশোধন হয়েছে জিএসটি আইন। বহু আধিকারিকের এই সমস্ত সংশোধন নিয়ে সঠিক ধারণা নেই। ফলে ব্যবসায়ীরাতো সমস্যায় পড়বেনই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!