এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “যুদ্ধের সময় অভিমান করে বসে থাকতে নেই” বিদ্রোহীদের মান ভাঙানোর চেষ্টায় মমতা!

“যুদ্ধের সময় অভিমান করে বসে থাকতে নেই” বিদ্রোহীদের মান ভাঙানোর চেষ্টায় মমতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – টিকিট না পেয়ে ইতিমধ্যেই অনেক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা দলত্যাগ করেছেন। যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। স্বাভাবিক ভাবেই ভবিষ্যতে এরকম আরও অনেক নেতা নেত্রী গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে একের পর এক নেতা নেত্রী যদি ত্যাগ করেন, তাহলে একদিকে বিজেপির চাপ এবং অন্যদিকে বিদ্রোহীদের চাপে কার্যত অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেসের।

আর এই সরল সত্য অনুধাবন করতে পেরেই এবার প্রকাশ্য সভা থেকে সেই বিদ্রোহীদের বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে যুদ্ধের সময় অভিমান করে বসে থাকতে নেই বলে বক্তব্য রাখতে দেখা গেল তাকে। আর যখন দলে বিদ্রোহীদের সংখ্যা বাড়ছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, আজ পুরুলিয়ার জনসভায় উপস্থিত হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে দেখা যায় তাকে। তিনি বলেন, “যারা অভিমান করে বসে আছো, বেরিয়ে এসো। যুদ্ধের সময় অভিমান করে বসে থাকতে নেই। আমি যদি ভাঙ্গা হাত পা নিয়ে লড়াই করতে পারি, তোমরা কেন পারবে না!” অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রী এই কথা বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, এখন আর বিদ্রোহ করার সময় নেই। এখন দলকে জয়লাভ করানোর জন্য সকলকে একজোট হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে দুটি দিক স্পষ্টভাবে ফুটে এল। একদিকে তিনি যেমন বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, এই নির্বাচন একপ্রকার যুদ্ধ। অর্থাৎ মুখে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাদের অসুবিধে নেই বলে বোঝালেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেছে, এবারের লড়াইটা সত্যিই তাদের কাছে অত্যন্ত কঠিন।

আর সেই কারণেই বিদ্রোহী নেতা কর্মীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভকে সামাল দিয়ে সকলকে সেই যুদ্ধে জয়লাভ করার জন্য সামনের সারিতে থেকে লড়াই করার আহ্বান জানান তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি তিনি এই বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, নির্বাচনের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বিদ্রোহ করে কোনো লাভ নেই। এখন যাতে সকলে দলের জন্য কাজ করে, তার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানাতে দেখা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোকে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!