এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > গুরুদেব সহায় – ( লাভ স্টোরি ) – কলমে-অপরাজিতা -পর্ব – ১০

গুরুদেব সহায় – ( লাভ স্টোরি ) – কলমে-অপরাজিতা -পর্ব – ১০


অনুপমদাকে বলেছে রাজর্ষি। অনুপমদা সেই মতো মাকে বোঝানোর চেষ্টাও করেছে। কিন্তু লাভ হয়নি মা কিছুতে রাজি হয়নি। উল্টে বলেছেন রাজু যদি ওই মেয়েকে বিয়ে করে তবে তিনি আত্মহত্যা করবেন।সঙ্গ দিয়েছে মঞ্জু আর প্রিয়াঙ্কাও।

অনুপম বলেছে – রাজর্ষি কষ্ট পাবে। তাতে উত্তর এসেছে -সুন্দরী মেয়ে দেখলে সব ভুলে যাবে। নিজেরাই নিজেদের ভোগ্য পণ্য বানিয়ে নিয়েছে ভেবেও খারাপ লাগছে অনুপমের। রাজর্সির মা, পিসি না হয় পুরোনো দিনের মানুষ কিন্তু প্রিয়াঙ্কা। তার ও কথা হলো – কোন একটা মেয়ে দেখেছে কিছু খুত আছে তবু এই অবস্থায় তাকেই হ্যাঁ বলা হবে। রাজর্ষি ওই মেয়েকে দেখলে চোখ ফেরাতে পারবে না ,বিয়েতে হ্যাঁ বলবে শ্রীপর্ণাকে এক সেকেন্ডে ভুলে যাবে।
সত্যি এত সোজা। একটা মানুষকে শুধু কি রূপ দেখেই ভালোবাসা যায় ? কি করে বোঝাবে এদেরকে।

অনুপম রাজর্ষির বাবাকে ধরলো – বললো রাজর্ষি ভালো থাকবে না যদি শ্রীপর্ণার সাথে ওর বিয়ে না হয়। আপনি কিছু করুন।

কমলবাবু – কি করবো , অনেকে করে ওর মাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি বুঝছে কি ?

অনুপম – যদি শ্রীপর্ণার বাড়িতে কথা বলা হয়।

কমলবাবু – না, আমি না হয় জোর করে কথা বলে বিয়ে দিয়ে নিয়ে এলাম ওই মেয়েটাকে। কিন্তু তার উপর যে পরিমানে মানসিক অত্যাচার হবে মেয়েটা সামলাতে পারবে ? তার চেয়ে ওর অন্য জায়গায় বিয়ে হোক ও ভালো থাকবে। আর যদি রাজু পারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে পারে করুক। আমি আপত্তি করবো না।

এর মধ্যে রাজর্ষিকে অনুপম শ্রীপর্ণাদের বাড়িতে পাঠিয়েছিল কিন্তু না ওর বাবা রাজি হয়নি। অপমান করে একপ্রকার তাড়িয়েই দিয়েছে।

না আর কোনো উপায় নেই অর্থাৎ শ্রীপর্ণা আর রাজর্ষিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সব প্রায় ঠিক ফোনে কথা হচ্ছে ,কোথায় দেখা করবে, কি বৃত্তান্ত সব, কান খাড়া রেখে যে একজন শুনছে সেটা খেয়াল করেনি রাজর্ষি। সে আর কেউ নয় সে হলো জেঠিমার স্পাই রাখি। ঠিক সময়ে সব জানিয়ে দিলো জেঠিমাকে। রাজর্ষি বাড়ি থেকে বের হলো ব্যাঙ্কের উদেশ্যে। ফোন গেলো শ্রীপর্ণার বাড়িতে। ওর বাবাকে সব জানিয়ে ফের অপমান করলো রাজর্ষির মা। সব জানাজানি হয়ে গেছে। আর পালানো হলো না শ্রীপর্ণার। বাবা বিষ খেতে গেছে। বলেছে বাড়ি থেকে বের হবে হোক শ্রীপর্ণা কিন্তু বাবার মৃতদেহের উপর সংসার বাঁধতে হবে। না পারবে না ও। পারবে না ওর জন্য বাবাকে মেরে ফেলতে। সব সম্পর্ক চুকিয়েছে শ্রীপর্ণা রাজর্ষির সঙ্গে।

না আর কোনো কথা বলেনি রাজর্ষি। হেরে গেলো ও মায়ের কাছে। মা ইচ্ছা করে হারিয়ে দিলো ওকে। অনুপম বার বার বলছে হাল না ছাড়তে। কিন্তু না শ্রীপর্ণা আর যোগাযোগ করেনি। রাজর্ষি অনেকবার ফোন করেছিল কিন্তু না সব শেষ।

মায়ের মুখ চোখ উজ্জ্বল হয়ে গেছে। কিন্তু শুকিয়ে গেছে রাজর্ষি। বাড়িতে মাকে বলেছে সে শ্রীপর্ণাকে বিয়ে করবে না আর সে বিয়ে করবে না এখন, যেন ওর উপর এটুকু দয়া করা হয়। মা জোর করেনি। প্রিয়াঙ্কা বলেছে ভুলতে একটু সময় লাগবে। তারপর ওই মেয়েটাকে দেখলেই রাজর্ষি রাজি হয়ে যাবে। বাবা এর মধ্যে মাকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আর ছেলের বিয়ের মধ্যে থাকবেন না। বিয়ের দিন স্থির হলে যেন জানান যা দরকার লাগবে সব করে দেবেন।

অনুপম বার বার বলছে রাজর্ষি ভালো নেই , না কেউ কথা শুনবে না।তাদের দাবি আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ভয় করছে অনুপমের।আজকাল রাজর্ষি যন্ত্রের মতো ব্যাংকে যায়, দরকারি দুচারটে কথা বলে। খাবার টেবিলে খেতে বসে যা দেয় রাখি তাই খায় বাড়তি কিছু চায় না। বাড়িতে থাকলে বেশিরভাগ সময়েই ঘরে দরজা বন্ধ করে ঘর অন্ধকার করে শুয়ে থাকে।

শ্রীপর্ণার তাই অবস্থা। কোথাও যায়না , কারুর সাথে কথা বলে না। এখনো দিন স্থির হয়নি। গুরুদেব একটু ব্যাস্ত থাকায় আর এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে। কি এসে যায় তাতে ?সব শেষ।

আর একজন কষ্ট পাচ্ছে সে আর কেউ নয় সে হলো রাখি। মাঝে মাঝেই মনে হচ্ছে তার জন্যই দাদা এত কষ্ট পাচ্ছে । দাদাকে সে এইভাবে দেখতে অভ্যস্ত নয়। দাদা তার সাথে ঝগড়া করবে , বকবে। হাসি খুশি দাদাকে দেখতেই সে অভ্যস্ত। সিনেমার পোকা সে। সিরিয়াল, সিনেমায় যখন হিরো , হিরোইন কে কেউ আলাদা করতে চায় রাখি তাকে খুব গালাগালি দেয় , মনে হয় মেরেই ফেলে। কিন্তু আজ সে যা করেছে সেই সব ভিলেনদের থেকে কম কিসে।?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!