এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > অপরাজিতা > গুরুদেব সহায় – ( লাভ স্টোরি ) – কলমে-অপরাজিতা -পর্ব-১

গুরুদেব সহায় – ( লাভ স্টোরি ) – কলমে-অপরাজিতা -পর্ব-১


আহা, মুখখানি ভারী মিষ্টি, কি সুন্দর দেখতে যেন মনে হচ্ছে কোনো সিনেমার নায়িকা। অনুপের মা ভাগ্যবতী। এমন সুন্দর বৌ হয়েছে।
সাথেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে অনিমা বললেন – সবার কি আর আমার মতো কপাল।একটা মেয়ে খুঁজেও পাই না। যাকেই দেখতে যাচ্ছি কিছু না কিছু খুঁত।

কমল বাবু অনিমার স্বামী বললেন – তুমি যদি সবেতে খুঁতখুঁত করো। এই ভালো নয় সেই ভালো নয়। তোমার ছেলে কি?

অনিমা – আমার ছেলে, ছেলে, তার উপর চাকরি করছে। সোনার আন্টি বুঝেছো।

কমল বাবু – চুপ করো তো, সোনার আন্টি। যে মেয়েগুলোকে রিজেক্ট করছো তারা কোন অংশে কম। চন্দননগরের মেয়েটা কি খারাপ ছিল ? দেখতে ,পড়াশোনায় সব ভালো।

অনিমা – হ্যাঁ সোনার আন্টি আমার ছেলে। আর চন্দননগরের মেয়েটার নাম কোরো না, দেখে বেরিয়ে আসতেই রাস্তায় টায়ার পাংচার হয়ে গেলো , মুখ দেখেই এতবড় বিপত্তি, ওই মেয়েকে ঘরে আনলে কি হতো কে জানে।

কমল বাবু – যতসব মান্ধাত্বা আমলের মেন্টালিটি, একটু বাস্তবটা কে বোঝো। আর হ্যাঁ পরশু যে মেয়েটাকে দেখতে যাচ্ছি।যদি দেখি মোটামুটি সব ঠিক আছে সেখানেই আমি পাকা কথা বলবো। তুমি যদি না বলো-আমাকে আর তোমার ছেলের বিয়েতে জড়াবে না।

অনিমা – তোমার আবার বেশি বেশি। একবার দেখেই বিয়েই। লক্ষ কথায় তবে বিয়ে হয় জানো।এমন বৌ অন্য লোকে বললে রাজুর মা বৌ এনেছে বটে।

কমলবাবু জানেন বুঝিয়েও কাজ হবে না , শুধুমুধু রাত্রের ঘুমটা নষ্ট হবে বললেন -আচ্ছা হয়েছে , অনেক রাত হলো যাও, কাপড় চোপড় ছেড়ে শুতে যাও।

অনিতা, কমল বাবু ঘরে চলে গেলেন।

অনিতার এক ছেলে। ব্যাংকে ভালো পোস্টে চাকরি করে। অনেক পাত্রী খুঁজেছেন ছেলের জন্য কিন্তু কিছুতেই যেন মনের মতো হয়নি। কারুর রং ফর্সা তো চুল কম, কারুর চুল আছে তো নাক বোঁচা, কারুর সব ভালো পায়ের আঙ্গুলগুলো ভালো নয়, কারুর চোখগুলো যেন বড্ডো ছোট। একটা মেয়েকে দেখে বেশ ভালো লেগেছিলো কিন্তু হাইটটা শর্ট। অনিতার ছেলে রাজর্ষি রাজপুত্র নয়, কিন্তু খরাপ নয় , মানান সই। মেয়েরা দেখেই প্রেমে পরে যাবে তেমন না হলেও অপছন্দ করবে না।

আজ শ্রীরামপুরে একটা মেয়ে দেখতে যাবার কথা। বেরোবার ঘন্টা দুই আগে অনিতাকে একজন ফোন করে বলেছে গুরুদেব আশ্রমে এসেছেন। ফের উত্তর ভারতের কোন মন্দিরে চলে যাবেন। এদিকে অনেকদিন গুরুদেবের সাথে দেখাও হয়নি, ছেলের বিয়ের জন্য মেয়েও মিলছে না। গুরুদেবকে তো একবার জানানো উচিত। যদি গ্রহ ফাঁড়া কাটে, ফলে মেয়ে দেখা ছেড়ে গুরুদেবের কাছে যাওয়ায় উচিত মনে করলেন।

যাই হোক, এদিকে অনিতা গুরুদেবের কাছে যাবেন তাহলে মেয়ে দেখার কি হবে ? কমলবাবু জিজ্ঞাসা করলেন

অনিতা – কি আবার হবে, বলে দাও শরীর খারাপ যেতে পারছি না পরে যাবো।

কমলবাবু -না , তারা মেয়ে পক্ষ বলে এইভাবে বিপদে ফেলবো না। তারা সব ব্যাবস্থা করেছেন, সকালেও কথা হয়েছে বলেছি যাবো , আর এখন না বলা ঠিক নয়।

ছেলেকে ডেকে বললেন -তোমার কি কিছু কাজ আছে আজকে ?

রাজর্ষি – না, কেন?

কমল বাবু – আমরা তোমার মায়ের গুরুদেবের কাছে যাচ্ছি। তুমি তোমার দিদি জামাইবাবুর সাথে গিয়ে ওই মেয়েটাকে দেখে এসো। পছন্দ হলে আমরা যাবো।

অনিতা – ও কি বুঝবে ,ঐটুকু ছেলে।

কমলবাবু – এবার ছেলেকে ছাড়ো, আর যদি এখনো মনে হয় ছেলে ছোট তাহলে বিয়ে দিও না।

আর কিছু বললো না অনিতা। কেননা ছেলে যাই বলুক আসল কথা তো বলবে অনিতা। যাক দেখে আসুক।

দিদি জামাইবাবু বলতে পিসতুতো দিদি, জামাইবাবু। তাদের সঙ্গে রাজর্ষিদের খুব ভালো যোগাযোগ। অনিতাদের সাথে তাদের যাবার কথা ছিল। সবজায়গায় না গেলেও অনেক জায়গাতেই গেছেন ওনারা। তবে দিদি প্রিয়াঙ্কা সব জায়গায় যেতে চাইলেও জামাইবাবু অনুপম যেতে চাননা কোথাওই। কেননা ওখানে যেভাবে মেয়েগুলোকে নিরীক্ষণ করা হয়, একটু হেঁটে দেখাও, পায়ের শেপ দেখি, চুলটা খোলো, এড্রেস লেখো এইসবের পর শুধু শুধু খুঁত বের করে রিজেক্ট করা হয় খুব অস্বস্তি হয় অনুপমের।

যাই হোক সেদিন অনুপম এসে জানালো অনুপমের ছেলের জ্বর এসেছে প্রিয়াঙ্কা তাই আসতে পারেনি।

কমলবাবু বললেন তাঁরা যাবেন না। অনুপমের সাথে রাজর্ষি যাবে।

 

এত সম্বন্ধ হলেও রাজর্ষি একজায়গাতেই যায়নি দেখতে। যাবে কি করে? কথা আছে মায়ের মেয়ে পছন্দ হলে তবে রাজর্ষী দেখবে। মায়ের কাউকে পছন্দ হয়নি তাই কাউকে দেখতে যাওয়ায় হয়নি। লাজুক প্রকৃতির ছেলে নয় রাজর্ষি। মায়ের এই বাড়াবাড়িগুলো একেবারে ভালো লাগে না রাজর্ষীরও। মেয়ে দেখে এসে যেভাবে সেই মেয়েকে নিয়ে তার খুঁত বের করে নাক সিটকানো হয় খারাপ লাগে। একবার প্রতিবাদ করায় প্রিয়াঙ্কা বলেছিলো – বাবা মামিমা দেখো তোমার ছেলে বিয়ের আগে থেকেই বৌয়ের হয়ে গাইছে। তোর এত বিয়ে করার তারা জানতাম না তো। এইসব ..
বুঝিয়েও কাজ হয়নি অগত্যা চুপ করে নানা কথা হজম করতে হয়েছিল। সেই থেকে এই নিয়ে আর কিছু বলে না রাজর্ষী।

যথারীতি মেয়ে দেখতে গেলো – অনুপমের সাথে রাজর্ষি।


 

কমলবাবু খুব একটা পছন্দ করতেন না এই গুরুদেবে নামক লোকটাকে। কিন্তু স্ত্রীর জেদের সাথে না পেরে একদিন গিয়েছিলেন আশ্রমে। অনেক কথা হয়েছিল। পরে কমলবাবু বুঝেছিলেন না অন্য গুরুদেবের মতো যিনি নন। এক তাবিজ, মাদুলি, শেকড়, বাকর এইসবের বালাই নেই।

কয়েকজন তাদের দুঃখের কথা বললেন, তাদেরকে কয়েকটা টোটকা বলে দিলেন। যে যে উপকরণ বললেন সেগুলো সহজলভ্য। বাজারে অনায়াসেই পাওয়া যায়।

কারুর সন্তানের পড়াশোনা হচ্ছে না তাকে বললেন – একটা মুক্তোর আন্টি কিনে অনামিকায় পড়ান সব ঠিক হয়ে হ্যাবে। তিনি গুরুদেবকে ভল্লেন- বাবা আপনিই দিন , যতোটাকা লাগে আমি দেব। আপনার কাছে আসল পাবো।

গুরুদেব হেসে বললেন – ক্ষমা করবেন মা , আমি ওসব রাখি না। যে কোনো গয়নার দোকান থেকে কিনে নেবেন।

এক জন এসে বললেন -আপনার কথা অনেক শুনেছি, তাই এলাম। বাবা খুব বিপদে আছি উদ্ধার করুন।

গুরুদেব বললেন – বলুন মা ,কি হয়েছে।

ভদ্রমহিলা – বাবা, আমার ছোট জা খুব বদ, আমাকে খুব হিংসা করে।শশুর শাশুড়িকেও বশ করে ফেলেছে। সব সম্পত্তি ছোট ছেলেকে লিখে দেবে শশুর। আপনি একটা বশীকরণের তাবিজ দিন, ওটা শশুর শাশুড়িকে বস করেই সব সম্পত্তি নেবো। ওদেরকে পথে বসাবো।

গুরুদেব বললেন- ভুল জায়গায় এসেছেন মা। আমি ঐসব করি না। তবে একটা উপায় বলে দিতে পারি। তা হলো আপনিও আপনার শশুর শাশুড়িকে ভালোবাসুন দেখবেন ওনারা আপনারও বশ হবে। ভালোবাসার যা জোর বশীকরণ তাবিজের তাতো জোর নেই।

ভদ্রমহিলের ঠিক পছন্দ হলো না। মুখ গোমড়া করে উঠে পড়লেন। চলে গেলেন।

আর এক জন ভদ্রমহিলা এলেন – তিনি কেঁদে বললেন আমার একমাত্র ছেলে সে নিয়ে মেয়ে দেখে রেখেছে। আর সেই মেয়েকেই বিয়ে করবে। সব মোটামুটি ভালো হলেও মেয়েটা কুচকুচে কালো। অমন মেয়েকে কিছুতেই ঘরের বৌ করতে পারবো না। লোকের কাছে মুখ দেখাবো কি করে? আপনি সবার উপকার করেন বাবা একটা কিছু করুন।

অনিতা কমলবাবুকে একটু ঠেলা দিয়ে বললেন – আজকালকার ছেলেরা এতটুকুও বাবা মায়ের কথা ভাবে না। আহা গো কি কষ্ট বলোতো।

কমলবাবু গুরুদেবের উত্তর শোনার অপেক্ষা করছিলেন।

গুরুদেব বললেন – এখানে যে এসেছেন ? এটা কিসের মন্দির জানেন ?

ভদ্রমহিলা বললেন – হ্যাঁ জানি তো স্বয়ং মা সিদ্ধেশ্বরী বিরাজ করেন এখানে। সবার দুঃখ হরণ করেন। তাই আপনার কাছে আসার আগে তার কাছে মাথা ঠুকে প্রার্থনা করেছি। যেন ছেলের মতি ঘোরে। যে মেয়েকে আমরা দেখেছি তাকেই যেন বিয়ে করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গুরুদেব হা হা করে হেসে বললেন – আপনি ভিখারির কাছেই ভিক্ষা চাইলেন মা।

ভদ্রমহিলা – বুঝতে পারলেন না বললেন – ভিখারির কাছেই ভিক্ষা চাইলাম মানে?

গুরুদেব -আপনি মা কালীর কাছে চাইলেন আপনার চলে যেন কালো মেয়ের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। যার নিজের রং কালো সে কি করে আপনাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করবে মা।

আর কিছু বলেননি ভদ্রমহিলা।

গুরুদেব বললেন – কাউকে কালো ফর্সা দিয়ে মাপবেন না মা। জুটি উপর থেকে হয়েই আসে। আপনি আমি কে তাকে ভাঙবো। সবই মায়ের ইচ্ছা। যান ওই মেয়েকেই মেনে নিন ভালো থাকবেন। কুষ্টিটা দিয়ে যাবেন দুজনেরই আমি গুনে দেখে যদি কিছু দোষ পাই প্রতিকার বলে দেব।

সেই ভদ্রমহিলা আর এসেছিলেন কিনা জানা নেই কমলবাবুর। কিন্তু গুরুদেবকে সেদিন থেকে ভারী শ্রদ্ধা করেন। তার সাথে দেখা করতেও মন চায়। কি সুন্দর মানুষকে বোঝান। না কোনো বুজরুকি নেই তাতে।

এসব অনেক আগের কথা তখন চাকরির জন্য নানা পরীক্ষা দিচ্ছে রাজর্ষী। গুরুদেবের উপদেশ মেনে নানা টোটকা করে ফল মিলেছে। রাজর্ষী চাকরি পেয়েছে। এদিকে যখন ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা শুরু হলো তার আগে একবার দেখা করেছিলেন অনিতা। গুরুদেব অনুমতি দিয়েছিলেন বলেছিলেন শুরু করো তবে এখনি বিয়ে হবে না।যখন অনিতা বলেছিলো কালো মেয়ে চলবে না। গুরুদেবের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন কমলবাবু। অনিতা বলেছিলো ওই ভদ্রমহিলার ছেলে পছন্দ করেছে বিয়ে করতে চাইছিলো তাই গুরুদেব বলেছিলেন অমন কথা। আমার ছেলে তো আর কিছু করেনি আমি কেন কালো মেয়ে ঘরে তুলবো।

অনিতা আর কমলবাবু আশ্রমে গিয়ে গুরুদেবের সাথে কথা বললেন। গুরুদেব ছেলের জন্মতারিখ নিয়ে গুনে গেথে বললেন। বিয়ের যোগ এসেছে মা। শীঘ্রই বিয়ে হবে। চিন্তা করবেন না।

অনিতা – মেয়ে পাবো?

গুরুদেব – অবশ্যই, মা সব ঠিক করে রেখেছেন , ঠিক সময়ে সামনে হাজির করে দেবেন।

গুরুদেব বলেছেন মানে কোনো চিন্তা নেই। মনটা হালকা হলো অনিতার।

 


 

এদিকে মেয়ে দেখতে গেছে রাজর্ষি আর অনুপম। মেয়েকে দেখেই চমকালো রাজর্ষি। এ তো শ্রীপর্ণা,  না আগে ফটো দেখেনি। কেননা মা পছন্দ না করলে সেই বিয়ে হবে না। আগে ফটো এলে রাজর্ষিকে দেখাতো। কিন্তু সেই দেখতে গিয়ে না করে দেওয়া। বার বার একই কান্ড। এখন আর রাজর্ষি ফটো দেখে না। বলে ঠিক হলে দেখবো।

মেয়েটাও চিনতে পেরেছে ওকে।অনুপম শ্রীপর্ণাকে অনেক কথা জিজ্ঞাসা করছে। কি করা হয়, কি ভালোবাসে এই আর কি ?
আর রাজর্ষি চলে গেছে ফ্ল্যাশব্যাকে।

শ্রীপর্ণাকে খুব ভালো করে চেনে না রাজর্ষি, একবার দেখা হয়েছিল ওদের গুরুদেবের আশ্রমে। হুম। যে গুরুদেবের সাথে রাজর্ষির মা দেখা করতে গেছেন শ্রীপর্ণার মাও তাঁরই ভক্ত।

রাজর্ষি বরাবরই গুরু টুরু মানে না। বাবা ই সেই জন্য মায়ের সঙ্গে যায়। কিন্তু সেবারে বাবার একটা দরকারি কাজ পরে গিয়েছিলো। ওকেই নিয়ে যেতে হয়েছিল গুরুদেবের আশ্রমে। ভীষণ বিরক্ত লাগছিলো। গুরুদেব আসা মাত্র প্রণাম করে বাইরে মন্দিরের সামনে গাছের তলায় বসেছিল। জায়গাটা বেশ শান্ত, গাছপালা আছে। ভালো লাগছিলো। কিন্তু তবুও বাড়ি যাবার বড্ডো তারা ছিল ওর। কিন্তু কিছু করার ছিল না। ওর মা গুরুদেবের বাণী না শুনে আসবে না।

হঠাৎ দেখলো একটা মেয়ে মুখটা ঢাকা দেওয়া। যেখানে প্রাসাদ খেয়ে লোকে হাত ধোয় সেখানে কল খুলে দিয়ে মুখ থেকে ওড়না সরিয়ে জল নিয়ে মুখে ঝাপ্টা দিচ্ছে। মুখটা যতটা ঘষলে প্রায় চাল চামড়া উঠে আসবে ততটাই প্রায় ঘষলো ওড়না দিয়ে। তারপর রাজর্ষির পাশে এসেই বসলো। ওর মা বললেন ওকে ভেতরে যেতে।শ্রীপর্ণা বললো – তুমি গুরুদেবের পায়ে শুয়ে পড়ো, গুরুদের কথা মতো নাচ গান যা খুশি করো। আমাকে জড়াবে না।

এই পর্যন্ত এসেছি এই অনেক। যাও, আমাকে জ্বালাকে আমি চলে যাবো। তুমি আসবে একা।

রাগ দেখিয়ে এই জন্যই তোর কিছু হচ্ছে না বলে ভেতরে চলে গিয়েছিলেন।

সে রাগে গজ গজ করে যাচ্ছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো যে সে কতটা রেগে আছে। রাজর্ষি বলেছিলো – বিশ্বাস না থাকলে আসার কি দরকার ?

পাল্টা উত্তরা এসেছিলো – আপনি বুঝি গুরুদেবের খুব ভক্ত ?
রাজর্ষি – না।
শ্রীপর্ণা – তাহলে আপনি এসেছেন কেন?

রাজর্ষি – চাপে পরে, মা রীতিমতো ব্ল্যাকমেল করে নিয়ে এসেছে।

শ্রীপর্ণা -এখানেও সেম।

————————-

গুরুদেব সহায় – ( লাভ স্টোরি ) – কলমে-অপরাজিতা -পর্ব- ২

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!