এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > অনুপমের পর এবার উল্টো সুর লকেটের গলাতেও! বিজেপিতে কি ক্রমশ কোনঠাসা হচ্ছেন হেভিওয়েট নেত্রী?

অনুপমের পর এবার উল্টো সুর লকেটের গলাতেও! বিজেপিতে কি ক্রমশ কোনঠাসা হচ্ছেন হেভিওয়েট নেত্রী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতমাসে বিশ্বভারতীর পৌষ মেলা প্রাঙ্গণের প্রাচীর ভাঙ্গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল অশান্তির সূত্রপাত হয়। এই অশান্তির কারণ হিসেবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য অভিযুক্ত করেন শাসকদলকে। অন্যদিকে শাসক দল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্র এই ঘটনার জন্য দায়ী করে উপাচার্যকে।

উভয়ের এই চাপানউতোরের পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীতে এসে ছিলেন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। সেখানে তিনি এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ” মেলার মাঠে দেহব্যবসা চলে, তাই তা ঘিরে দিলে অনেকের অসুবিধা হবে। তাঁরাই বিরোধিতা করছেন।” সেদিন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর এই বক্তব্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সমর্থন জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু এর বিরোধিতা করেছিলেন বিজেপি দলের প্রাক্তন সাংসদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অনুপম হাজরা।

এ প্রসঙ্গে অনুপম হাজরা জানিয়েছিলেন যে, শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার মাঠে দেহ ব্যবসা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ তিনি শোনেন নি। সুতরাং বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের কথা সত্য বলে মনে করেন না তিনি। এরপর বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এর উদ্দেশ্যে তিনি জানান যে, বিশ্বভারতী নিয়ে সবাই দল বেধেছে , কিন্তু বিশ্বভারতীর মতো একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এমন মন্তব্য করে করা একেবারেই অনুচিত। এবার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও অনুরূপ মন্তব্য করলেন বিশ্বভারতীর বিষয়ে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, ”পৌষমেলার মাঠে দেহব্যবসা চলছে, এই কথা আমি বিশ্বাস করি না এবং মানিও না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার বোলপুরে কেন্দ্র সরকার প্রণীত নয়া কৃষি বিল বিষয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি। বক্তব্য চলাকালীন বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে সে প্রসঙ্গে সাংসদ জানালেন, ” বিশ্বভারতী মানেই খোলা আকাশ, খোলা প্রাণের জায়গা। পৌষমেলার মাঠে সেক্স- র‍্যাকেট চলছে, এই কথা আমি বিশ্বাসও করি না, মানিও না। কে বলেছে আমি জানি না। বিশ্বভারতী নিয়ে এই ধরনের কথা বললে আমার মন খারাপ লাগে।”

গতকালের সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্বভারতী নিয়ে তাঁর বক্তব্যের পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল সরকারের কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের বিরোধিতা ও সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের একাধিক বিষয় নিয়েও বিশেষভাবে সরব হলেন তিনি। কেন্দ্র আনীত নয়া কৃষি বিলের পক্ষে ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিপক্ষে একযোগে তাঁর বক্তব্য, ” আগের কেন্দ্রীয় সরকার এমন একটি আইন চালু করে রেখে ছিল যে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল মাণ্ডিতে দিতে হবে। যেখানে হিমঘর নেই, সেখানে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই আইনে কৃষকরা ঠিক করবে তারা কোথায় রাখবে বা কাকে দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, জমি নিয়ে নেওয়া হবে। এই আইনে পরিষ্কার বলা আছে, কৃষকদের জমি কৃষকদের থাকবে কেউ নিতে পারবে না। গরু পাচার নিয়ে তিনি বলেন গরু পাচারে পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে। এই পাচারে কোটি কোটি টাকা আসছে এবং নেতা মন্ত্রীদের পকেটে যাচ্ছে। ”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!