প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের রাজত্বকালে দেশজুড়ে পেট্রোল ডিজেল এবং গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নতুন কিছু নয়। তবে ইদানিংকালে যেভাবে ঘনঘন গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে এবং পেট্রোল-ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষ রীতিমতো আতান্তরে পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর এবার মিটিং, মিছিল, স্লোগান নয়, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদের নতুন দৃষ্টান্ত আজ শহরের বুকে স্থাপন করলেন।

নিত্যদিন পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জেরে শহরের বুকে ব্যাটারি চালিত স্কুটি চালিয়ে বাড়ি থেকে নবান্নে পৌঁছালেন তৃণমূল নেত্রী। যাওয়ার সময় অবশ্য তাঁর চালকের ভূমিকায় ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যখন দিনের শেষে বাড়ি ফিরলেন তখন তিনি নিজেই স্কুটি চালিয়ে নবান্ন থেকে এলেন। স্কুটি করে নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আজ মূল্যবৃদ্ধির জেরে কেন্দ্রীয় সরকারকে করেছেন ব্যাপক আক্রমণ।

ঠিক সেভাবেই বিকেলে বাড়ি ফিরে আরো একদফা জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, যেভাবে পেট্রোল-ডিজেলের এবং গ্যাসের দাম বাড়ছে, তাতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার তেলের দাম বাড়িয়ে রেখেছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেরোসিনের জন্য এতদিন কেন্দ্রীয় সরকার 4000 টাকা ভর্তুকি দিত, সেটাও এবার বাজেটে তুলে নেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, 800 টাকা এলপিজি গ্যাসের দাম কমিয়ে চারশো টাকা করতে হবে অবিলম্বে, না হলে আগামী দিনে বড়সড় আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব প্রতিবাদ করলেন আজ এবং গ্যাসের দাম কমানোর জন্য দাবি জানালেন, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি রাজ্যের সামনে কেন্দ্রীয় সরকারের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরার পেছনে যে এরাজ্যের গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করার নামান্তর সে কথা বুঝতে বাকি নেই।