এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > হঠাৎ দলবদল বাবুল সুপ্রিয়র, কি বক্তব্য রাজনীতির কারবারিদের?

হঠাৎ দলবদল বাবুল সুপ্রিয়র, কি বক্তব্য রাজনীতির কারবারিদের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হঠাৎ তৃণমূলে যোগদান করলেন বাবুল সুপ্রিয়। যে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারবার তোপ দেগেছেন, তাঁর এই হঠাৎ তৃণমূলে যোগদান, যথেষ্ট বিস্ময়কর বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন রাজনীতিবিদ বিভিন্ন বক্তব্য রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য কোন বক্তব্যই রাখেননি। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চান না, যা বলার তা বলবে দিল্লি।

এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানালেন যে, বাবুল সুপ্রিয়র মনে হয়েছে, দল তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, সুবিচার করেনি। আসলে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল মন্ত্রী হওয়া, আজ তা প্রমাণিত হয়ে গেল। দুবারের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে দল কিছু সময়ের জন্য অবসর দিয়েছিল, তার প্রতিশোধ নিলেন তিনি। পাশাপাশি আসানসোলের মানুষের সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনি কটাক্ষ করেছেন, তৃণমূলে গিয়েও বেশিদিন টিকে থাকতে পারবেন না বাবুল সুপ্রিয়। জীবনে বাবুল সুপ্রিয় অনেক কিছুই অল্প অল্প সময়ের জন্য করেছেন। জীবনে তিনি অল্প দিনের জন্য চাকরি করেছেন, অল্প দিনের জন্য ফুটবল খেলেছেন, অল্প দিনের জন্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, অল্প দিনের জন্যই হয়তো এবার তৃণমূলে চলে গেলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানালেন যে, বাবুল সুপ্রিয় কোন দলে যাবেন ?কোন দলের মতাদর্শ তাকে আকৃষ্ট করেছে? সেটা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। বাবুল সুপ্রিয়র নিশ্চয়ই তৃণমূলের মতাদর্শ ভালো লেগেছে, তাই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে তার সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় কখনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। আগেও তাকে শ্রদ্ধা করতেন, এখনো তাকে শ্রদ্ধা করেন।

এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানালেন যে, ঝোলা নিয়ে বসে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে আসবেন, তাকেই তিনি নিয়ে নেবেন। এতে বিজেপির শক্তি কমেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্তি বেড়েছে। বামপন্থী নেতা সুজন চক্রবর্তী জানালেন, বাবুল সুপ্রিয় একজন ভাল গায়ক, তিনি তাকে শুভেচ্ছা জানান। কি কারণে তিনি রাজনীতি করতে এসেছিলেন? তা আগেই বলেছিলেন। নরেন্দ্র মোদির মতো কোনো নেতা কোন দেশে নেই, পৃথিবীতেও নেই, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত স্বৈরাচারী নেত্রীও কোথাও নেই। এসব বলে তিনি ভোটে জিতেছেন। মন্ত্রী হয়েছেন।

নরেন্দ্র মোদির সুখ্যাতি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করেছেন। আর এখন বিজেপি কত খারাপ, নরেন্দ্র মোদি কত খারাপ, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কত ভালো। এই কৌশলে তিনি ঢুকে গেছেন। ব্যবসার মতো তিনি চিন্তাভাবনা করছেন। বিজেপিতে থাকলে লাভ বেশি? নাকি তৃণমূলে থাকলে লাভ বেশি? নীতি-আদর্শের কোন ব্যাপারই নেই। বিজেপি নেতারা তাদেরকে নিচ্ছেন, যারা আগের দিন খারাপ বলেছেন বিজেপিকে। তৃণমূলও একই জিনিস করছে। কোন নীতি থাকছে না। রাজনীতি সম্পর্কে মানুষের ধারণাকে কলুষিত করা হচ্ছে। যা বাংলার রাজনীতিতে কোন দিন ছিল না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!